ভারতে ২১ দিনের দেশজোড়া লকডাউনের সময়সীমা আরও ২১ দিন বাড়লে ঘরোয়া বাজারে বিক্রি পুরোপুরি থমকে যেতে পারে। সোমবার এক সর্বভারতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিশিষ্ট বাজার বিশেষজ্ঞ ক্রিস উড। অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য রয়েছে, বলছেন উড।
জেফ্রির গ্লোবাল ইকুইটি নীতি নির্ধারণের প্রধান ক্রিস উড বলেছেন, ওষুধ বা প্রতিষেধকের উপর কোনও ঘোষণা যেমন দারুন ফল আনতে পারে। তেমনই ভারতের ইকুইটি বাজার যদি বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে যাচাই না করে তাহলে তিনি বেশ অবাকই হবেন। কোভিড–১৯ ভারতে ছোবল দেওয়ার অনেক আগে থেকেই ভারতের অর্থনৈতিক দীনতা নিয়ে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন, বললেন উড। তিনি বলেছেন, ‘পুনরুত্থান সম্পর্কে ভারতের হাতে কোনও তথ্য নেই। এনবিএফসি সমস্যা সেখানে দীর্ঘদিনের। ইয়েস ব্যাঙ্কের সমস্যা অনেক দেরিতে সামনে এসেছে এবং তা নিয়ে এখনও কোনও সমাধান হয়নি।’
তথ্য বলছে ঘরোয়া বাজারের সূচক গত পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রায় ২৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল ভারতে। সেখানে আমেরিকায় সেটা পড়েছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। এর উপর ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আচমকা সব কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটা আরও ধাক্কা খেয়েছে, মনে করছেন উড। তাঁর অনুমান, ইওরোপে এখন এবং আমেরিকায় এমাসের শেষে পরিস্থিতি কিছু স্বাভাবিক হলে আগামী মাস থেকে অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু হবে। ‘জুন থেকে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে যা ইকুইটি বিক্রির সুযোগ এনে দেবে,’ বলছেন উড। তবে এসময়ে ভারতে সোনাতেই লগ্নি করা উচিত বিনিয়োগকারীদের, মনে করছেন তিনি। যেহেতু বিমা ভারতে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। সেহেতু, সরকারের অর্থনৈতিক সাহায্য কতটা কার্যকর হবে মানুষের পক্ষে সেজন্য বিশ্ব অর্থনীতির ঠিক পথে ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, বলছেন উড।