আত্মীয়দের ভালোবেসে দেওয়া টাকা বাচ্চাটা জমাতো মাটির ভাঁড়ে। ইচ্ছে ছিল জমানো টাকায় সাইকেল কিনবে। কিন্তু না, সেই পুরো টাকাটাই ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম গেদে উত্তরপাড়ার ক্লাস ফোরে পড়া আদিত্য মহলদার দান করল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
তাকে কেউ টাকাটা দিতে বলেনি। ছোট্ট আদিত্য টিভিতে দেখেছিল যে দাদা দিদিরা নিজেদের জমানো টাকা দিচ্ছে। সেই দেখে সেও টাকা দিতে চায় এই দুঃসময়ে৷ ইচ্ছের কথা আদিত্য প্রথম জানিয়েছিল তার জেঠু দীনবন্ধু মহলদারকে। এরপর জেঠুর সঙ্গে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঁড়ের টাকা কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও কামালউদ্দিন আহমেদের হাতে তুলে দিয়ে আসে আদিত্য।
আদিত্য জানায়, ‘একটা সাইকেল কিনব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু করোনা রোগে কত লোক মারা যাচ্ছে শুনছি। টিভিতে দেখলাম দু’টো দাদা দিদি তাদের জমানো টাকা দিয়ে দিচ্ছে সবার ভালোর জন্য। আমিও তাই আমার জমানো টাকা দিতে এসেছিলাম।’
ছোট্ট ছেলেটির এই চিন্তাভাবনায় আপ্লুত কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও। তিনি জানান, এরাই তো দেশের ভবিষ্যৎ। ছোট্ট আদিত্যের সাইকেল কেনা হয়নি। কিন্তু দেশের এই চরম দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকতে সাহায্য করেছে।