রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটির ফান্ড থেকে সরকারি হাসপাতালে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ, বাজারের গিয়ে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বোঝানো সবটাই নিজের হাতে দায়িত্ব নিয়ে করেছেন মমতা। লকডাউনের মধ্যে রাজ্যের কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে, সেজন্য রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য প্রদানের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। তবে এমতাবস্তায় তৃণমূলেরই একশ্রেণীর নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধেই রেশনের চাল-ডাল নিয়ে উঠেছে ঘোরতর অভিযোগ। আর সেই খবর শোনা মাত্রই রণং দেহি মমতা। এক মুহূর্ত দেরি না করে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে তিনি দায়িত্ব দেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার। সুব্রত বক্সী বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করার পরেই তাঁর কাছে ভুঁড়িভুঁড়ি অভিযোগ এসে জমা পড়ে। তারই প্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত ওই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের নিজে ফোন করে কড়া নির্দেশ দিচ্ছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলা সভাপতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে শুরু করে যুব নেতৃত্ব কিংবা বিভিন্ন এলাকার ক্ষমতাবান নেতাদের নিজে ফোন করে পার্থ কড়া ভাবে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কোনওরকম খাদ্যশস্য দোকান থেকে তুলে বিলি করা যাবে না। সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ খাদ্যশস্য জনসাধারণের কাছেই যাতে পৌঁছায় সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, যে সমস্ত নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দলের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রত্যেককে এই ব্যাপারটি ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে দলের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আগে যে দু’বার ভাবা হবে না সেটাও তাদের কার্যত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।