করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত মাসের ১৫ তারিখ থেকেই রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তার পর ২৩ মার্চ বিকেল থেকে টানা লক ডাউন চলছে গোটা দেশেই। এরমধ্যেই গতকাল রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মে মাসে আমরা আইসিডিএস এবং স্কুলে আবার মিড ডে মিল দিয়ে দেব।’
তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু এখনই রাজ্যে স্কুল খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই, তাই মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই মিড ডে মিল বাবদ বাচ্চাদের ২ কেজি করে চাল ও আলু দিয়ে দেব। এপ্রিলে সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত ও পোষিত স্কুলগুলোর পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দেওয়া আছে।’ অনেকেই মনে করছেন, এই রাজ্যে আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের এক জন মানুষও যাতে খাবার না পেয়ে কষ্টে না থাকেন, সেই জন্য মমতার এই আন্তরিক উদ্যোগ।
প্রসঙ্গত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ভার্চুয়াল ক্লাসে জানান, লক ডাউন উঠে গেলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরীক্ষার ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে। তাঁর কথায়, ‘খাতা দেখার পর্ব শেষ। যে টুকু কাজ বাকি আছে, লক ডাউন উঠলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা মিটিয়ে ফেলা হবে।’ এদিকে, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এ দিনই ঘোষণা করেছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ১৭ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।