মহামারীর আকার নেওয়া করোনার চিকিৎসায় এখন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদা গোটা বিশ্বজুড়ে। হ্যাঁ, সেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ভারতকে দেওয়া ট্রাম্পের হুমকির পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে যে ওষুধ। চিকিৎসকেরাও বলছেন, করোনার চিকিৎসার জন্য আপাতত এই ওষুধকেই সবচেয়ে বেশি ভরসা করা হচ্ছে। এবার সেই ওষুধ তৈরি করার জন্য স্টেট ড্রাগ কাউন্সিলের কাছে অনুমতি চাইল বেঙ্গল ক্যেমিক্যালস।
প্রসঙ্গত, বাংলার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে ক্লোরকুইন ফসফেট ২৫০ তৈরি করে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি করার অনুমতি তাদের নেই। এখন সেই অনুমতির জন্যই আবেদন করেছে সংস্থটি। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি এম চন্দ্রনাথ জানান, ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে ক্লোরকুইন ফসফেট ২৫০ যথেষ্ট মজুত আছে। অনুমতি মিললে তাঁরা দ্রুত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি করে দিতে সক্ষম হবেন। তাঁর কথায়, সারা পৃথিবীতে এখন এই ওষুধের চাহিদা তুঙ্গে। তাই দ্রুত অনুমোদন পেলে তাঁদের সুবিধে হবে।
উল্লেখ্য, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরকুইন ফসফেটের রাসায়নিক গঠন একই। তবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন অতিরিক্ত হাইড্রক্সি যুক্ত। অনেকের ক্লোরোকুইন খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বমি হতে পারে। সেদিক দিয়ে অন্য ওষুধটির ক্ষেত্রে সেই সমস্যা নেই। তাই চিকিৎসকরা রোগীদের এটি প্রেসক্রাইব করতে পছন্দ করেন। এই বাড়তি চাহিদার কথা ভেবেই এবার এই ওষুধটি প্রস্তুত করতে চায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় নির্মীত এই প্রতিষ্ঠানটি। জানা গিয়েছে, লাইসেন্স মিললেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি শুরু করে দেবে তারা।