প্রিমিয়ার লিগের অবস্থা নিয়ে চিন্তায় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। লকডাউন, করোনাভাইরাসের আতঙ্ক কমলে সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় সংস্থা। তার আগে পুনরুজ্জীবনের জন্য প্যাকেজ তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। যা সরকারের কাছে পেশ হতে পারে। কিন্তু দেশের অবস্থা এতটাই শোচনীয়, সেখানে সরকারি সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম।
যদি’ ও ‘কিন্তু’র মাঝে প্রিমিয়ার লিগ। শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ না হলে এক বিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির মুখে পড়বে প্রিমিয়ার লিগ। যার প্রভাব গিয়ে পড়বে ইংল্যান্ড ফুটবলেও।
প্রিমিয়ার লিগের মুখ্য কার্যনির্বাহী কর্তা রিচার্ড মাস্টার্স বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বের হাল খুব খারাপ। জানি না, প্রিমিয়ার লিগ শেষ করতে পারব কীনা। যদি শেষ না করতে পারি, তাহলে ক্ষতির অঙ্ক বিলিয়নে পৌঁছে যাবে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বহু ছোট ক্লাবের দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে চিরদিনের মতো।
ইংল্যান্ড ফুটবলে তিনটি লিগ টায়ারে ৬৫টি টিম খেলে। সেই সিইও বলছেন, ‘পরের মরসুমে যদি ৬৮টি ক্লাবকে দেখতে পাই, তাহলে সত্যি অবাক হব। অনেক ক্লাব ফুটবলারদের বেতন দিতে পারছে না। খেলা বন্ধ থাকলে বেতন দেওয়াটাই কষ্টকর।’
তাহলে কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সিইও। তিনি যে ভাবেই হোক, লিগ শেষ করার পক্ষপাতী। না হলে ক্ষতির অঙ্ক সহ্য করা যাবে না। দরকার হলে ট্রান্সফার উইন্ডো দেরিতে খুলতে হবে। পরের মরসুমটাই দেরিতে শুরু হবে। ফুটবলারদের বেতন কাটা নিয়ে নানা মতের মধ্যে তিনি ঢুকতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘সব ক্লাব বসে যদি একটা সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে একরকম। আলাদা আলাদাভাবে নিলে আমাদের কিছু বলার নেই।’