উর্দিধারীদের সম্পর্ক কি শুধুই লাঠি, লকআপ আর অপরাধ দমনে কঠিন আইনের সঙ্গে? তা মোটেই নয়। আর তা যে নয়, সেই প্রমাণ তো দিয়ে দিচ্ছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। কখনও তাঁদের কণ্ঠে পিট সিগারের বিখ্যাত ‘আমরা করব জয়’ তো কখনও অঞ্জন দত্তর ‘বেলা বোস’-এর সুরে পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গান। বৃহস্পতিবার দেখা গেল, একডালিয়া এলাকায় গড়িয়াহাট থানার পুলিশের উদ্যোগে ফের গানের আসর। আশেপাশের বাসিন্দারাও যোগ দিলেন তাতে। বহুতলের ব্যালকনি থেকে মানুষের উঁকিঝুঁকি, পরে সমস্বের গেয়ে ওঠা করোনা বিরোধী লকডাউন সফল করার গান।
লকডাউনের নিঝুম সময়ে ইটালির আদলে কলকাতার বো ব্যারাক নিরাপদ দূরত্বে থেকেই ভেসে গিয়েছিল সুরে সুরে। তারপর পথে নেমে জনগণকে সচেতন করতে সুরকেই আশ্রয় করেছেন কলকাতা পুলিশ। ঘরবন্দি কলকাতাবাসীকে একটু চাঙা করতে বুধবার যেমন ‘আমরা করব জয়’ শুনিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা তাঁদের কণ্ঠে শোনা গেল অন্য গান। অঞ্জন দত্তর বিখ্যাত ‘বেলা বোস’-এর প্যারোডি। নেপথ্যে গড়িয়াহাট পুলিশ।
নিমেষেই লকডাউনের সন্ধে বদলে গেল সুরেলা সন্ধ্য়ায়। গড়িয়াহাট থানার ওসি সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই কর্মকাণ্ড। সার্জেন্ট দেবজিত মুখোপাধ্যায়ের লেখা কথায় অঞ্জন দত্তর সুর বসিয়ে সমবেত সংগীত। তার মেজাজই বলুন আর আবেদন বলুন, একেবারে আলাদা। একুশ দিনের সহনশীলতার পর আবার নতুন দিনের আনন্দের আবাহন। এইই তো জীবনের স্বাভাবিক বহমানতা। তবে সাদা উর্দিধারীদের এভাবে গায়কের ভূমিকায় দেখে সকলেই চমৎকৃত। প্রতি সন্ধেয় অপেক্ষা, কবে কোথায় এঁরা গান গেয়ে প্রাণ ফেরান মুষড়ে পড়া শহরবাসীর।