আশা ছিলই। আর গোটা দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আশাপূরণ করে ফের নিজের গড় ফিরে পেলেন মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। আজ রাতেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি। কমল নাথের চোদ্দ মাসের সরকারকে কৌশলে হারিয়ে ফের মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া ঝড় এনে কুর্সিতে বসলেন শিবরাজ সিং চৌহান।
মাঝে মাত্র চোদ্দ মাস সময়ের ব্যবধান। তার আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। পরে কংগ্রেস গেরুয়া শিবিরের থেকে কুর্সি কেড়ে নিলেও নিজের গড় ফের দখল করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কমল নাথ ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয় কে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল হবেন। পরে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ রাত ৯ টার সময় বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন শিবরাজ সিং চৌহান।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট কমল নাথকে গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বেগতিক দেখে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেন কমল নাথ। ভোটে জিতে কমল নাথ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। সূত্রের খবর, তখনই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে জ্যোতিরাদিত্যকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে এমনটা জানান হয়। কিন্তু পরে সেই কথা রাখেনি কংগ্রেস শিবির। ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে কমল নাথ ও জ্যোতিরাদিত্যের মধ্যে।
যার ফলে ফাটল দেখা দেয় মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস শিবিরে। আর এই অশান্তির সুযোগ নিয়ে তাঁকে টোপ দেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এমনিতেই বিজেপির সঙ্গে সিন্ধিয়া পরিবারের সম্পর্ক নিবিড়। সিন্ধিয়া পরিবারের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে বিজেপির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই পরিবারের সদস্যরা। তাই সব শেষে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সঙ্গে যোগ দেন আরও ২২ জন বিধায়ক। ফলে মধ্যপ্রদেশে পরে যায় কংগ্রেস সরকার।