এতদিন ব্যতিক্রম থাকলেও, গত পরশু করোনা পৌঁছে গিয়েছে বাংলাতেও। ইংল্যান্ড ফেরত এক তরুণের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ মিলেছে। ওই তরুণ বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি। কিন্তু জানা গিয়েছে, রাজ্যের এক আমলার সন্তান ওই তরুণ ইংল্যান্ড থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এলেও সোমবার নবান্ন-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন।
এই ঘটনার ফলে আতঙ্ক আরও মাথাচাড়া দিয়েছে। আর এরই মধ্যে গোটা দেশের মতো বাংলাতেও নানা গুজব মাথাচাড়া দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনও দাবি করছেন অনেকে যে, কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে সকল দোকানপাট। পাওয়া যাবে না নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। কিন্তু এই প্রচার যে সম্পূর্ণরূপেই গুজব, তা এদিন কঠোর ভাবে জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘যারা গুজব রটাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিন। দোকান চলবে, বাজার খোলা থাকবে, না হলে খাব কী! আমাদের সবসময় কাজ করতে হবে।’ তিনি জানিয়ে দেন, সীমান্ত সিল হলেও যথেষ্ট পণ্য মজুত রয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আইসিডিএস-এর চালে যেন কোনও ঘাটতি না হয়।’
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। এই বিষয়ে টুইট করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার স্পষ্টতই জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ালে জেল পর্যন্ত হতে পারে। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। সত্যতা যাচাই করার আগে কোনও কিছু বিশ্বাস করবেন না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিন। নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন।’
এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ঘোষণা করেছেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকলেও শিশুদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে মিড ডে মিল।’ সকলের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘অযথা ভয় নয়। আসুন সকলে মিলে লড়াই করি।’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও অবশ্য কিছুটা ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের যে কিটগুলো পাঠানোর কথা, সেগুলো এখনও পাচ্ছি না। এখন পারমিশন না পেলে আর কখন পাব। সময় নষ্ট করে কী লাভ।’