দোল ও হোলিতে যাতে শহরের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকে, তার জন্য ধর্মগুরুদের সঙ্গে বৈঠক করলেন লালবাজারের কর্তারা। এই প্রেক্ষিতে একটি বৈঠক হয় যেখানে পুলিশকর্তারা ধর্মগুরুদের অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁরা যেন নিজেদের এলাকায় শান্তির বাণী প্রচার করেন। কেউ যদি বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, সঙ্গে সঙ্গেই যেন তাঁরা বাধা দেন। পুলিশকে খবর দেন।
দিল্লীতে ঘটে গেছে হিংসার ঘটনা। এদিন প্রত্যেক থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এই বিষয়ে থানার ওসিদের সতর্ক থাকতে বলেছে লালবাজার। শহরের ধর্মস্থানগুলির আশপাশে থাকছে অতিরিক্ত পিকেট।
সোম ও মঙ্গলবার দু’দিনই নিরাপত্তায় শহরে নামছে প্রায় সাড়ে চার হাজার পুলিশ। দোলের দিন ৭০০’র উপর ও হোলির দিন ৫০০’র উপর পিকেট। ২৫টি এইচআরএফএস, ৪০টি আরএফএস, শক্তি, উইনার্স, ২৭টি পিসিআর, ৩১টি আরসিপি গাড়ি শহরে টহল দেবে। প্রত্যেকটি ঘাট ও বড় পুকুরগুলিতেও পুলিশ মোতায়েন করা থাকছে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শহরের কোথাও মাইক বাজলেই পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে। কোথাও ডিজে বাজলেও পুলিশ যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে শহরবাসীকে জানানো হয়েছে, যেন দোল ও হোলির আগের দিন বড় রাস্তাগুলিতে চাঁচর বা নেড়া পোড়ানো না হয়। রবার বা টায়ারের মতো কোনও বস্তু, যা থেকে দূষণ হয় বা আগুন ছড়িয়ে দুর্ঘটনা হয়, তা যেন পোড়ানো না হয়। অনিচ্ছুক ব্যক্তিকে রং দিলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে। কোনও আপত্তিকর রং বা ক্ষতিকর দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না। বড় রাস্তায় রং খেলা বা বহুতলের ছাদ, বারান্দা থেকে রং দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও প্রকাশ্যে মদ্যপান করে অভব্য আচরণ করলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে।