ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণে ঋণ নিয়ে শোধ করেনি। তার ওপর অর্থনীতিবদরা জানালেন, আগামী দিনে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে। তাঁরা জানিয়েছেন, অর্থনীতির বিকাশ যদি দ্রুততর না হয়, তাহলে আগামী তিন বছরে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বাড়বে আরও চার শতাংশ। এর অর্থ, ওই সময় ২.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা বাড়তি ঋণের বোঝা সইতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে।
ইন্ডিয়া রেটিং অ্যান্ড রিসার্চ নামে এক সংস্থা সম্প্রতি দেশের প্রথম সারির ৫০০ টি বেসরকারি সংস্থার ওপরে সমীক্ষা চালায়। তাতে দেখা যায়, তাদের ঋণ নেওয়া মোট অর্থের মধ্যে ১০.৫ লক্ষ কোটি টাকা শোধ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ওই ৫০০ টি কোম্পানির ঋণের পরিমাণ মোট ৩৯.২৮ লক্ষ কোটি টাকা।
ওই রেটিং সংস্থার বক্তব্য, বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা তাদের তহবিলের পুরো অর্থ যথাযথভাবে খরচ করতে পারছে না। তাদের ঋণের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ফলে তহবিলে অর্থের পরিমাণ কমছে।
পর্যবেক্ষকরা ধরে নিয়েছেন, ২০২১-২২ সালে দেশে মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি)-র বৃদ্ধির হার হবে ছয় শতাংশ। এই ধারণার ভিত্তিতে তাঁরা বলেছেন, আগামী তিন বছরে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ চার শতাংশ বাড়বে। যদি ২০২১-২২ সালের আর্থিক বছরে জিডিপি সাত শতাংশ হারে বাড়ে, তা হলেও অনাদায়ী ঋণ বাড়বে ১.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা।
আগামী দিনে অর্থনীতির যে ক্ষেত্রগুলিতে বিকাশের হার কমবে, তার মধ্যে আছে লৌহ-ইস্পাত, বসতবাড়ি নির্মাণ, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রথাগত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও টেলিকম।
