লোকপালের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সম্মত্তি ছাড়া করা যাবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির তদন্ত। একইভাবে তদন্ত হবে না কোনও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও। হ্যাঁ, লোকপালের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সম্মতি দিতে অস্বীকার করলে বর্তমান বা কোনও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের বিষয়টি খারিজ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বেঞ্চ কেন দুর্নীতি অভিযোগের তদন্ত খারিজ করল তারও ব্যখ্যা দিতে হবে না তাদের।
নিয়মানুসারে লোকপালের তদন্তের আওতাধীন সরকারি কর্মচারীরা। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সাংসদ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের এ, বি, সি ও ডি পর্যায়ভুক্ত কর্মীদের জন্য নানা আইন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ দায়ের হয়, আইনানুসারে লোকপাল তার বিবিধ তদন্তের ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে কিছু শর্ত রয়েছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে লোকপাল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে পারবেন না। এই ক্ষেত্রগুলি হল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আইনশৃঙ্খলা, আভ্যন্তরীণ ও বহির্নিরাপত্তা, পরমাণুশক্তি বিষয়ক।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ততক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত করা যাবে না যতক্ষণ না লোকপালের সব সদস্যরা তদন্ত শুরুর পক্ষে সহমত প্রকাশ করেন এবং অন্তত দুই তৃতীয়াংশ তাতে সম্মতি দেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হলে তা গোপনে হতে হবে। এবং যদি লোকপাল মনে করে অভিযুক্তের পদ খারিজ করা উচিত, তাহলে তদন্তের নথি প্রকাশ করা যাবে না বা সে নথি কাউকে দেওয়া যাবে না। একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত খারিজ হলেও তার ব্যাখ্যা দিতে হবে না বেঞ্চকে। এমনকী তদন্ত কিছুটা এগিয়ে বন্ধ হলেও তার নথি প্রকাশ্যে আনতে হবে না।
