চিনের ইউহানে প্রাদুর্ভাব ঘটে নোভেল করোনাভাইরাসের। যা এখন ৭০টি দেশে ত্রাস হয়ে উঠেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৯০,০০০ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ নেই। ভাইরাস পরিবারের নয়া সদস্য এই করোনা ভাইরাস।
মানুষ থেকে মানুষেই ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। COVID-19 ভাইরাসে আক্রান্ত কারও হাঁচি বা কাশির সময়ে মুখ যদি না ঢাকেন তাহলে হাঁচি-কাশির সেই ছিটেফোঁটা থেকে ওই জায়গায় উপস্থিত কারও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে।
করোনার উপসর্গ :
জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, এরপরে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়। প্রতি চারজনের মধ্যে অন্তত একজনের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে যায় বলে মনে করা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হালকা ঠান্ডা লাগা থেকে শুরু করে মৃত্যুর সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
শিশুদের উপর প্রভাব কী?
এটা একটা নতুন ভাইরাস। কাজেই শিশুদের উপর বা অন্তঃসত্ত্বাদের উপর এর প্রভাব কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যে কোনও বয়সের মানুষেরই এই রোগ হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা কম।
প্রতিরোধ :
১. সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যান। তবে এটা ফ্লু-এর সিজন। এটাও খেয়াল রাখবেন। করোনার উপসর্গ সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু-এর মতোই। কাজেই উদ্বিগ্ন না-হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
২. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাঠ দিন শিশুকে। বারবার হাত ধোয়ানোর অভ্যেস করুন। হাত ধোয়ার পর স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৩. টীকাগুলি ঠিকমতো দিয়ে রাখুন। যাতে ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়াজনিত রোগগুলির সঙ্গে শিশুর শরীর যুঝতে পারে।
কিভাবে বাঁচবেন :
১. নিজের স্বাস্থ্যবিধি নিজেই সযত্নে মেনে চলুন।
২. এই সময়ে কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার কথা মাথাতেই আনবেন না।
৩. নিজের চোখ, নাক এবং মুখ নিজেই ছোঁবেন না।
৪. কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য ভালো করে সাবান দিয়ে নিজের হাত ধুয়ে ফেলুন। CDC-র তরফে বলা হচ্ছে, বাথরুম যাওয়ার পর, খাওয়ার আগে এমনকী হাঁচি বা কাশির পরেও হাত ধুয়ে ফেলুন। অ্যালকোহল-যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, যাতে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকবে, যদি না সাবান এবং জল খুব শিগগিরই না পান।
