গত নভেম্বরে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছিল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের মহা আগাড়ি জোট। আর এই সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই দেখা দিল ফাটল। শরিকদের আদর্শগত মতপার্থক্যের জেরে এনসিপি ও শিবসেনার মধ্যে শুরু হল কোন্দল। দিনকয়েক আগেই এনসিপি মন্ত্রী নবাব মালিক জানিয়েছিলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণের বিল নিয়ে আসতে চলেছে সরকার। যেই ঘোষণার পরই বেঁকে বসেছে শিবসেনা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা এখনও মন্ত্রিসভায় হয়নি।
এনসিপি মন্ত্রীর ওই দাবির পরই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে টুইটে লেখা হয়, ‘ধর্মের ভিত্তিতে মহারাষ্ট্র সরকারের সংরক্ষণ দেওয়ার খবর দুশ্চিন্তার। শিবসেনা নেতৃত্বে রয়েছে এমন সরকারের কখনই মুসলিম তোষণ করা উচিত নয়। হিন্দু সমাজের অন্তত এমনটাই প্রত্যাশা।’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই টুইটের পরই তাতে পাল্টা জবাব দেয় শিবসেনা। টুইট করে তাঁরা লেখে, ‘এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কিছু আলোচনা করা হয়নি।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী নবাব মালিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সংখ্যালঘু সমাজকে শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে দেওয়ার স্বার্থে এবার নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। মহারাষ্ট্রের মহা আগাড়ি সরকার তাঁদের বিধানসভায় একটি নতুন বিল পেশ করতে চলেছে। এই বিল পাশ হলে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসমিল পড়ুয়াদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন মহা আগাড়ি সরকারের এক মন্ত্রী। নবাব মালিক বলেন, ‘এই অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই আমরা চেষ্টা করব যাতে শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলিমরা সংরক্ষণ পান। ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণ আমরা দেব বলে ঠিক করেছি।’ আর এই ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে মতবিরোধ।