সিএএ-র বিরোধিতায় প্রায় দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে শাহিনবাগে ধর্ণায় বসেছেন মহিলারা। সঙ্গে রয়েছে তাঁদের সন্তানরাও। খোলা আকাশের নিচেই গত ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে দিনরাত ধরে চলছে আন্দোলন। তবে শাহিনবাগের জন্য ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আমিত সাহানি। ওই আইনজীবী দ্রুত শাহিনবাগ এলাকার ট্রাফিক সমস্যা দূর করার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
বেশ কিছুদিন আগেই হিন্দু সেনার তরফে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি। নয়তো ১ মার্চ থেকে ‘শাহিনবাগ সাফাই অভিযান’ শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তাঁরা। এরপরই এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ একটি মিছিলের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। সেই কথা মাথায় রেখেই অশান্তি এড়াতে আগাম তৎপর হল দিল্লী পুলিশ। এমনকি জারি হল ১৪৪ ধারাও। কড়া নিরাপত্তা প্রসঙ্গে দিল্লী পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ডিসি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ‘আমরা আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাথা ও অঘটন এড়ানো।’
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে হিংসা থেকে শিক্ষা নিয়েছে দিল্লী পুলিশ। অশান্তির জেরে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪৫ জন। ঘরছাড়া বহু। আর এই ছড়িয়ে পড়া হিংসার জন্য পরোক্ষভাবে দিল্লী পুলিশকেই দায়ী করছেন অনেকে। অভিযোগ ছিল, পুলিশের গা ছাড়া মনোভাবের জন্যই অশান্তি দ্রুত ছড়িয়েছিল। তাই এবার আগেভাগেই তৎপর হল দিল্লী পুলিশ।