এক সপ্তাহ হতে চলল। এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে দিল্লীতে হিংসার আগুন। হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৮টি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লী পুলিশ। এদিকে জারি মৃত্যুমিছিল। আজ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। এখনও থমথমে মৌজপুর বাবরপুর, জাফরাবাদের মতো বেশ কয়েকটি এলাকা। শুক্রবারের নামাজের আগে নিরাপত্তার লক্ষ্যে গুরুগ্রামে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
দিল্লীর শিববিহার এখন যেন এক পরিত্যক্ত ভুতুড়ে শহর। কয়েকদিন আগেও জমজমাট এই এলাকার কয়েকটি রাস্তায় এখন একটিও প্রাণীর দেখা মিলবে না। খালি পড়ে ভাঙাচোরা আধপোড়া প্রায় ৩০০০ বাড়ি। চাঁদ বাগ, গোকুলপুরী এবং মৌজপুর-জাফরাবাদে সবচেয়ে বেশি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে এই কয়েকদিনে। অশান্তি খানিক থামতে সবার নজরও এই সব এলাকাতেই। কিন্তু অলক্ষ্যে প্রায় ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে শিববিহার। ফাঁকা পড়ে একের পর এক বাড়ি, দোকান, কারখানা। প্রাণ বাঁচাতে সব ছেড়েছুড়ে পালিয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। ফাঁকা বাড়ির সুযোগে সেখানে চলছে অবাধ লুঠপাট।
পুলিশ-প্রশাসনের কারোর দেখা এখানে মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার বাসিন্দা সুধা দেবী। গ্যাস সিলিন্ডার এনে যখন একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, তখন কোথাও পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সোমবার প্রায় ২০০০ লোক এসে একের পর এক বাড়ি, গাড়ি, দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন সুধা দেবীর স্বামী। এদিকে আজ দোকানবাজার কিছু ক্ষণ খোলা রাখার জন্য কোথাও কোথাও কার্ফু শিথিল করা হচ্ছে কয়েক ঘণ্টার জন্য। তার পর ফের জারি হচ্ছে কার্ফু।