সিএএ-এনআরসি সমর্থক এবং বিরোধীদের সন্ত্রাসে গত পাঁচদিন ধরে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লী। অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। আর এরই মাঝে উঠে এল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। রবিবার প্রথম ঝামেলা শুরুর আগেই নাকি দিল্লী পুলিশকে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা বিভাগ। কিন্তু তাও কোনও রকম পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশকেও সতর্ক করে পরপর বার্তা পাঠান গোয়েন্দারা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হওয়ার পরে আরও একবার আসে সতর্কবার্তা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কোনওবারই এই সতর্কবার্তায় আমল দেয়নি পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনও অসফল দিল্লী পুলিশ। বরং অনেক ক্ষেত্রে বেশ নিষ্ক্রিয়তাই দেখা গিয়েছে। সেই কারণে সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লী হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পরে পুলিশ।
সূত্রের খবর, বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র মৌজপুরে জমায়েতের ডাক দেওয়ার পরেই সেখানে বড় ঝামেলা হতে পারে বলে খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই অনুযায়ী ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই সব সতর্ক বার্তা উপেক্ষা করে দিল্লি পুলিশ। জানা গেছে স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ইন্টালিজেন্স উইং রেডিয়ো মেসেজের মাধ্যমে ছ’বার দিল্লী পুলিশকে সংঘর্ষ লাগার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল।