দিল্লীর সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশকে ভীষণরকম ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, পারলেই এই সঙ্ঘর্ষ আটকাতে পারত দিল্লী পুলিশ, কিন্তু তারা হামলাকারীদের পালাতে সাহায্য করেছে! সঙ্ঘর্ষ বাঁধার আগে তারা অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কোনওরকম পদক্ষেপ নেয়নি। সেই কারণেই দিল্লীতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিন শাহিনবাগ নিয়ে মামলার ভিত্তিতে যে শুনানি চলছিল সেই শুনানিতেই দিল্লী সঙ্ঘর্ষ নিয়ে এমন মন্তব্য করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, হামলাকারীদের সঙ্ঘর্ষ ছড়াতে রীতিমতো ‘সাহায্য’ করেছে পুলিশ।
দিল্লীর সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সমালোচনা করে এদিন সুপ্রিম বিচারপতি কেএম জোসেফ মন্তব্য করেন, কোনও এলাকার পরিস্থিতি যখন খারাপ হয় তখন আমেরিকা বা ব্রিটেনের পুলিশ আইনশৃঙ্খলাকে বাগে আনতে পেশাদারভাবে কাজ করে। কিন্তু দিল্লী পুলিশের পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে! তবে এই মন্তব্যের কার্যত বিরোধিতা করে সলিসিটার জেনারেল বলেছেন, এমন মন্তব্য শুনলে দিল্লী পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়বে। তিনি আরও বলেন, ‘এরপর যদি পুলিশ নিজের মতো অ্যাকশন নেয় তবে পরবর্তী সময়ে আদালতই তাতে হস্তক্ষেপ করবে!’ উল্লেখ্য, দিল্লীর হিংসার ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও পদক্ষেপ নিতে চায়নি কারণ ইতিমধ্যেই দিল্লী হাইকোর্টে সেই মামলা চলছে।
অন্যদিকে, শাহিনবাগ সম্পর্কিত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট শুনানি ২৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হয়েছে, এখন পরিস্থিতি কোনওভাবেই ইতিবাচক নয় এই মামলার রায় দেওয়ার মতো। তাই মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি সরকারকে ইতিমধ্যেই তুলোধনা করেছে শিবসেনা। শিবসেনা তাদের মুখপত্র সামনায় উল্লেখ করেছে ১৯৮৪ সালের শিখ সঙ্ঘর্ষের কথা। তাদের বক্তব্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে থাকাকালীনই দিল্লীতে সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটে গেল। মোদী-ট্রাম্প একে অপরের সঙ্গে যখন আলাপচারিতায় ব্যস্ত তখন দিল্লী জ্বলছে। যে কারণেই সঙ্ঘর্ষ লাগুক না কেন এটা স্পষ্ট যে, কেন্দ্রীয় সরকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।