ভারতকে ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ ঘোষণা করার উদ্যোগ তিনি এবং সংঘ বহু আগে থেকেই নিয়ে নিয়েছেন তবে একইসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করতেও পিছিয়ে থাকেন না মোহন ভাগবত। সম্প্রতি, ভারতে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন সংঘ প্রধান। মোহন ভাগবত বলেছেন, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন একজন কট্টর হিন্দু। এবার মহাত্মাকেও গেরুয়াকরণ করবার প্রবল চেষ্টা করছেন ভাগবত।
তিনি বলেছেন, মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একজন কট্টর হিন্দু। এমনকি গান্ধী নিজেকে সনাতনী হিন্দু বলেও অভিহিত করেছেন। তিনি ঘুরে বেড়াতেন দেশকে সম্পূর্ণ বোঝার জন্য। তিনি কোনও সময় নিজেকে হিন্দু বলতে লজ্জা পাননি। এরপর মোহন আরও বলেন, গান্ধী যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আজও পূরণ হয়নি। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস আছে যে, এই প্রজন্ম এটা বুঝতে পারবে৷
এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ আইনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ভাগবত। দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে তাতে বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মের ভিত্তিতেই দেশভাগ করার অভিযোগ উঠছে। সেই আইনের প্রশংসা করেই মহাত্মা গান্ধীর কথা উল্লেখ করেন।
কিন্তু দেশ জুড়ে এমন কট্টর হিন্দুত্ব প্রচারের স্বার্থে মহাত্মা গান্ধীকে কেন টানা হল এই ব্যাপার স্পষ্ট নয়। কারণ, গান্ধীজী, নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিলেও অন্য ধর্মকে কখনোও ছোট করে দেখেননি। ভারতে মানুষের মধ্যে বিভেদকে সমর্থনও করতেন না। তাই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এহেন মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।