‘গান্ধীজি আর গডসে একসঙ্গে চলতে পারেন না।’ জেডিইউ-এর এনডিএ জোটে থাকা নিয়ে এহেন কটাক্ষ করলেন দলের প্রাক্তল সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। এক সাক্ষাৎকারে পুরানো দল, বিহারের ভবিষ্যৎ ও নীতীশ কুমারকে নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন পিকে। তাঁর কথায়, ‘বিহারে এমন একজন নেতা চাই, যিনি দৃঢ় হবেন। বিহারের কথা বলতে অন্য কারোর পিছনে-পিছনে ঘুরবেন না।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন পিকে ঘুরিয়ে নীতীশ কুমারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠতাকেই কটাক্ষ করেন।
বেশকিছু দিন ধরেই দলের সঙ্গে মন কষাকষি চলছিল। দলের সঙ্গে মতের মিলও হচ্ছিল না। দলের প্রধানকে বোঝানোরও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। আসলে তিনি এনডিএ-এর সঙ্গে জেডিইউ-এর গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘নীতীশজির এনডিএ-তে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। দলের আদর্শ নিয়ে আমার আর নীতীশজির মধ্যে বহুবার আলোচনা হয়েছে। নীতীশজি বারবার বলেছেন, দল গান্ধীজির আদর্শ থেকে সরে আসবেন না। কিন্তু যে দল গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসে সম্পর্কে নরম মনোভাব পোষণ করে, তাদের সঙ্গেই জেডিইউ হাত মিলিয়ে চলছে। আমার মতে, গান্ধীজি ও গডসে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে পারে না।’
মতভেদের ফলে দল থেকে বিতাড়িত হতে হয় প্রশান্ত কিশোরকে। তবুও পুরানো দল জেডিইউ বা দলীয় প্রধান নীতীশ কুমারের প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই প্রশান্ত কিশোরের। বরং তাঁকে এখনও শ্রদ্ধা করেন পিকে। ওই সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট। তাঁর কথায়, ‘নীতীশ কুমার আমাকে ছেলের মতো দেখেন। আমি তাঁকে বাবার মতো শ্রদ্ধা করি। নীতীশ কুমারের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, আমাকে দলে নেওয়ার কিংবা দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার। কিন্তু আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি।’