ঘরে-বাইরে গেরুয়া শিবিরের এখন বড়ই করুণ অবস্থা। একে তো এনআরসি-সিএএ নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ, তারওপর গলার কাঁটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার আদি এবং নব্য বিজেপি কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তাল হল ইলামবাজারের বিলাতি পঞ্চায়েতের নাচনসা গ্রাম। যার জেরে মাথা ফাটল মণ্ডল সভাপতির।অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের মাঝে ইটের ঘায়ে জখম বর্তমান মণ্ডল সভাপতি বিকাশ ঘোষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। নাচনসা গ্রামের ডোমপাড়া প্রাথমিক স্কুলের পাশে একটি খোলা জায়গায় পিকনিক করছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি অভিজিৎ খাঁয়ের অনুগামীরা। সেই সময় বর্তমান মণ্ডল সভাপতির অনুগামীরা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে তাঁদের গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। দুই বিজেপি নেতার অনুগামীদের বচসায় রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পিকনিকের জায়গা। বিকাশবাবুর অনুগামীরা সংখ্যায় কম থাকায় তাঁদের বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে সময়িকভাবে মিটমাট হয়ে গেলেও সোমবার সকাল হতেই ফের অশান্তি শুরু হয় বিকাশবাবু নিজেই ওই এলাকায় গিয়ে চেঁচামেচি শুরু করায়। অভিযোগ, দল ভারী করে গ্রামে গিয়ে অভিজিৎ খাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি গ্রামের মহিলাদের উদ্দেশেও কটূক্তি করা হয়। থেমে থাকেনি বিরোধী পক্ষও। শুরু হয় হুমকি ও পাল্টা হুমকি। লাঠি, ইট নিয়ে চড়াও হয় বেশ কয়েকজন। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে বিকাশবাবুর। জখম হন আরও কয়েকজন।
রবিবার রাতের ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আনল বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও। তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ঢাকতে এখন গ্রাম্য বিবাদ বলে প্রচার করা হচ্ছে। পুলিশকে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ না হলেও নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপরে।