সবকটি বুথফেরত সমীক্ষাতেই মিলেছিল স্পষ্ট ইঙ্গিত। সেই মতোই দিল্লীতে জয়ের পথে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এই মুহূর্তে ফল গণনার কাজ চলছে পুরোদমে। কিন্তু ট্রেন্ড যে পথে এগোচ্ছে তাতে দিল্লীর চিত্র অনেকটাই পরিষ্কার। আরামসে হ্যাটট্রিক করার পথে এগোচ্ছেন কেজরিওয়াল। এখনও পর্যন্ত ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৩টি আসনে এগিয়ে আপ। বিজেপি এগিয়ে ৭টি আসনে। অন্যদিকে কংগ্রেস একটি আসনও পাবে কিনা সন্দেহ। কারণ এখনও পর্যন্ত খাতাই খুলতে পারিনি তারা। এবং তা নিয়েই বিদ্রুপ ও বিশ্লেষণ চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এরই মধ্যে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বললেন, বিজেপি যে জিতছে না, তাতেই আমরা খুশি। একইসঙ্গে অবশ্য তিনি স্বীকার করেন, আজ শীলা দীক্ষিত ম্যাডামের অভাব অনুভব করছে দল।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সাল থেকে শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে পর পর তিনবার দিল্লীতে জিতেছিল কংগ্রেস। ২০১৫ সালের ভোটে তারা একটি আসনও পায়নি। সেবার আম আদমি পার্টি একাই পেয়েছিল ৬৭ টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল তিনটি। সাধারণত ভোটে হারার পর কংগ্রেসের ‘চিন্তন শিবির’ বসে। কিন্তু সঞ্জয় ঝা নামে কংগ্রেসের এক নেতা এদিন বলেন, এইরকম হারের পরে চিন্তনের কোনও মানে হয় না। কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ও এই মন্তব্য সমর্থন করেন। এরই মধ্যে অনেক নেতা বলছেন, আমরা শীলা দীক্ষিতকে মিস করছি। তিনি দিল্লীতে উন্নয়নের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। শীলা দীক্ষিত গত বছর মারা গিয়েছেন। তারপরে দিল্লি কংগ্রেসে সৃষ্টি হয়েছে শূন্যতা। অভিষেক মনু সিংভি সেকথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা শীলাজির অভাব অনুভব করছি। আমরা একজন বড় নেতাকে হারিয়েছি। তাঁর সমকক্ষ কোনও নেতা এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’