সিএএ বিরোধিতায় প্রায় মাস দুয়েক ধরে রাত জাগছে শাহিনবাগ। দিল্লী পেরিয়ে যার আঁচ পৌঁছে গিয়েছে গোটা দেশেই৷ সেই আবহেই রাজধানীতে ভোট৷ ফলে শাহিনবাগের আঁচ যে দিল্লীর ভোটে পড়বে, তা আগেভাগেই বুঝে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তাই রাজধানীর নির্বাচনী প্রচারে দিল্লীবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর আর্জি ছিল, এত জোরে ইভিএমের বোতাম চাপুন, তার কারেন্ট যেন শাহিনবাগ পর্যন্ত পৌঁছে যায়৷ শাহের এই মন্তব্য ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি৷ এবার দিল্লীর ভোটের ফলে ট্রেন্ড পরিষ্কার হয়ে যেতেই শাহকে পাল্টা দিল আম আদমি পার্টি৷
প্রসঙ্গত, আজ দিল্লী বিধানসভার নির্বাচনে ঝাড়ু ঝড়ে উড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত ৫৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আম আদমি পার্টি৷ বিজেপি এগিয়ে মাত্র ১৩টি আসনে৷ ভোটগণনার এই ট্রেন্ডই বলে দিচ্ছে, দিল্লীর গদি থাকছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরই দখলে৷ জয়ের হ্যাটট্রিকের পথে আম আদমি পার্টি৷ ইতিমধ্যেই দিল্লীতে আম আদমি পার্টির সদর দফতরের সামনে শুরু হয়ে গিয়েছে সমর্থকদের বিজয় উল্লাস৷ চলছে লাড্ডু, মিষ্টি বিতরণ৷
আর এরই মাঝে শাহকে খোঁচা দিয়ে আম আদমি পার্টির সদর দফতরের সামনে কর্মী-সমর্থকরা একটি পোস্টার টাঙিয়েছেন৷ সেখানে শাহের ছবির ওপর লেখা আছে, ‘কারেন্ট লাগা কেয়া?’ যার বাংলা অর্থ, ‘কারেন্ট লাগল তো?’ জয়ের পথে প্রায় একশো কদম এগিয়ে যাওয়ার পর আম আদমি পার্টির এই পাল্টা ‘কারেন্ট’-খোঁচা যে শাহর অস্বস্তি বাড়িয়েছে, তা বলাই বাহুল্য৷ অন্যদিকে, দিল্লীতে বিজেপির অফিসের বাইরে বিশাল হোর্ডিং দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘জয়ে আমরা অহংকারী হই না৷ পরাজয়েও নিরাশ হই না৷’ যা থেকে স্পষ্ট, ভোটগণনা শেষ হওয়ার আগেই একপ্রকার হার স্বীকার করে নিল বিজেপি৷