রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কমবেশি সমস্ত ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। বাদ যায়নি শিক্ষাক্ষেত্রও। অর্থমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গত আট বছরে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র আমূল বদলে গিয়েছে। গত ৮ বছরে রাজ্যে মোট ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে তৃণমূল সরকার। আগামী বছর রাজ্যে আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে।
পরিসংখ্যান বলছে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে মহিলাদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে মতুয়া, মুসলিম, উর্দূভাষীদের জন্যও। এমনকী, কন্যাশ্রীদের জন্যও আলাদা করে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে তৃণমূল সরকার। আগামী ২ বছরে রাজ্যে আরও তিনটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। আদিবাসীদের জন্য ঝাড়গ্রামে তৈরি হবে বিশেষ বিরসা মুণ্ডা বিশ্ববিদ্যালয়। তফসিলি জাতি অধ্যূষিত এলাকার জন্য তৈরি করা হবে আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়। এবং অন্যান্য অনগ্রসর জাতির উন্নয়নের জন্য একটি আলাদা ওবিসি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির পাশাপাশি রাজ্যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যস্তরে প্রথম সারির আমলা তৈরির লক্ষ্যে তিনটি সিভিল সার্ভিস ইনস্টিটিউট তৈরি করা হচ্ছে। এই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলিতে হবু সরকারি আমলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুরে এই ইনস্টিটিউটগুলি তৈরি করা হচ্ছে। এগুলির নাম দেওয়া হচ্ছে ‘মহাত্মা গান্ধী’, ‘জয় হিন্দ’ এবং ‘আজাদ’। এই তিনটি সিভিল সার্ভিস অ্যাকাডেমি তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। রাজ্যের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এছাড়াও কর্মসংস্থানে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। অর্থমন্ত্রীর দাবি, বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে ৪.৪ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের সরকারের সক্রিয় সহায়তায় সমবায় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। গোটা দেশে যখন বেকারত্ব ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ, তখন বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে।