সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় গোটা দেশেই জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে সিএএ-বিরোধী অবস্থান চলছে দিল্লীর শাহিনবাগেও। দিল্লীর বিধানসভা ভোটের আগে যা নিয়ে বেজায় চাপে বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ- সকলের ভাষণেই উঠে আসছে শাহিনবাগ আন্দোলন নিয়ে নানা হুঁশিয়ারি, বিতর্কিত মন্তব্য। স্পষ্ট করে বলতে গেলে দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের মুখে শাহিনবাগ ও হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ ছাড়া কিছুই শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন বিজেপির অন্যতম কনিষ্ঠ সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তাঁর দাবি, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠরা’ (পড়ুন হিন্দু) যদি এখনই সজাগ না হয় তবে দেশে আবার ‘মোঘল রাজত্ব’ ফিরে আসবে। বুধবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপরে বিতর্কে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে শাহিনবাগ-সহ গোটা দেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নিয়ে এমন মন্তব্য করে বসেন তিনি।
বুধবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধানে চলা এক বিতর্ক সভায় অংশ নিয়েছিলেন তেজস্বী সূর্য। সেখানে শাহিনবাগের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি না সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজ অবিলম্বে সজাগ হয় তবে সেই সময়ে খুব দেরী নেই যখন আবার মোঘল রাজত্ব ফিরে আসবে।’ এহেন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবিরে শোরগোল ফেলে দেয়। তবে মোদীর প্রশংসা করতেও ভোলেননি তেজস্বী। তিনি বলেন, বহু দশক ধরে কয়েকটি জটিল বিষয়ের কেউ সমাধান করেনি। মোদী সেগুলির সমাধান করেছেন। মোদীর নেতৃত্বে সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে দিয়েছে। রামমন্দির তৈরি করতে চলেছে। বোড়ো সমস্যা সমাধান করেছে। তিন তালাকও বন্ধ হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘পুরানো ক্ষতগুলি না সারিয়ে নতুন ভারত গঠিত হতে পারবে না।’ নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি বলেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ওই আইন করা হয়েছে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া সরকারের উদ্দেশ্য নয়।