‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী কারা পালন করেছে- তার রিপোর্ট দেখে এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ভিত্তিতেই মিলবে পুরভোটের টিকিট। এ কথা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রশ্ন ছিল, প্রার্থীদের ভাবমূর্তি নিয়ে সমীক্ষা থেকে শুরু করে ‘দিদিকে বলো’-র রিপোর্ট কার্ড তৈরি করবেন কে? উত্তরটা খুবই সহজ। কলকাতার জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের বৈঠকে নিজেকে ‘তৃণমূলের স্ক্যানার’ বলে দাবি করা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। জানা গিয়েছে, পিকের সেই ‘স্ক্যানার’ ঘুরেই কলকাতার দলীয় কাউন্সিলরদের প্রার্থীপদ পৌঁছেছে কালীঘাটে। সূত্রের খবর, কাজের পাশাপাশি দুর্নীতি ও অনিয়মের হিসেব করে তাঁরই তৈরি করা ১৪৪ টি ওয়ার্ডের সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই চলছে। শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তালিকা চূড়ান্ত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিবেচনার মাপকাঠি গত ৫ বছরের কাজ। এই সময়ে কলকাতার সব ওয়ার্ডে দলের কাউন্সিলর ও দলের কাজের মূল্যায়ন করেছেন পিকে। দলীয় সূত্রে খবর, যে ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই তৃণমূলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অবস্থা জানিয়ে একেবারে নির্দিষ্ট করে সম্ভাবনা নিয়েও মতামত দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর মাধ্যমে দলের কাছে আসা অভিযোগের সিংহভাগ যাচাই করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ— প্রায় সব অঞ্চলেই এই রকম অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ওয়ার্ড চিহ্নিত করে দলের করণীয় সম্পর্কেও পরামর্শ দিয়েছে টিম পিকে। ইতিমধ্যেই বার দুই পিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে দলের শীর্ষস্তরে আলোচনা হয়েছে। তবে এই রকম বদলের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি মমতার হাতেই রয়েছে। দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘টিম পিকে পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের মতামত জানিয়েছে। বাকিটা নেত্রী ঠিক করবেন।’