আগামী ১০, ১১ ও ১২ ফ্রেরুয়ারি তিনদিনের জেলা সফরে বাঁকুড়া আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফর ঘিরে এখন জেলায় উন্মাদনা তুঙ্গে। তৃণমূল দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধের দিকে জেলায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করার কথা তাঁর। পরদিন ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শহরের সতীঘাট বাইপাস সংলগ্ন মাঠে বুথভিত্তিক কর্মিসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। পরের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সতীঘাটের কর্মিসভার সভাস্থল পরিদর্শনে করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর আজ সভাস্থল পরিদর্শন করলেন বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও-সহ পুলিশ-প্রশাসনের অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের তিনদিনের জেলা সফরকে ঘিরে জেলার প্রশাসনিকস্তরেও তৎপরতা চোখে পড়ছে। সভাস্থল, মুখ্যমন্ত্রী রাত্রিবাসের জায়গা-সহ প্রতিটি রাস্তাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলতেতৎপর জেলা পুলিশ-প্রশাসন। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে গোটা শহর। সভাস্থল-সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে কোনওরকম ফাঁকফোকর রাখতে নারাজ প্রশাসন। সেই জন্যই আজ অনেক আগেভাগেই সভাস্থল ঘুরে দেখলেন জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
সামনেই পুর নির্বাচন। একুশে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই দুই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ের ময়দানে অনেক আগেভাগে নেমে পড়েছে ডান-বাম গেরুয়া সব পক্ষই। তবে ফাইনাল বিধানসভার আগে সেমিফাইনাল পুর নির্বাচনে দলীয় কর্মী-নেতৃত্বকে দাওয়াই দেওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে আসছেন, একথা মানতে নারাজ বাঁকুড়ার পুরপ্রধান। তাঁর দাবি, প্রশাসনিক বৈঠক-সহ অন্যান্য কাজের জন্য তিনি আসছেন। তার সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলবেন। শুধুমাত্র পুর নির্বাচন উপলক্ষে নয়, জেলার ১৯০ অঞ্চল এলাকার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। আগামী দিনে দলের কাজ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করবেন বলে দাবি পুরপ্রধানের।