গত ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে লাল-হলুদ ফুটবলাররা। পরপর তিন ম্যাচ হেরে যেই চাপের মুখে তাঁরা পড়েছিল, চেন্নাই ম্যাচের পর সেই চাপ অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে মার্কোস-ক্রেসপিরা। তবে আজ ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রচন্ড সাবধানী ইস্টবেঙ্গল। এমনিতে অ্যারোজের ফুটবলারদের অধিকাংশই সদ্য আঠারো পেরিয়েছেন। কেউ আবার মধ্য উনিশে। তবুও লিগ টেবিলে সবার শেষে থাকা বিদেশিহীন দলের একঝাঁক তরুণই আতঙ্ক ইস্টবেঙ্গলের। কারণ তাঁদের গতি।
শুক্রবার সকালে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে সকাল ন’টায় অনুশীলনে নামার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু চল্লিশ মিনিট পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কাউকে দেখা যায়নি মাঠে। ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ করে তখন ফুটবলারদের বিশেষ ক্লাস নিচ্ছেন সদ্য যোগ দেওয়া সহকারী কোচ মার্সাল সেভিয়ানো।
ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে যুবভারতীর অনুশীলন মাঠে ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ করে অভিজ্ঞতায় ভরপুর মার্কোস, কোলাডো, কাশিম, লালরিনডিকা রালতে থেকে সামাদ আলি মল্লিক- সকলকে চেন্নাই সিটি এফসির বিরুদ্ধে জয় ভুলে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। অনুশীলনের ফাঁকেও ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেছেন দলের সহকারী কোচ।
আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গলের আর এক সহকারী কোচ বাস্তব রায় বলেছিলেন, ‘অ্যারোজের ফুটবলারেরাও ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ। ওদের হাল্কা ভাবে নিলে বিপর্যয় অনিবার্য।’ দুই কোচের মতো ফুটবলারেরও বলে গেলেন, ‘অ্যারোজ ম্যাচটা একেবারেই সহজ হবে না। সবাই তরুণ ফুটবলার। সামান্য ভুলও করা যাবে না।’ অ্যারোজের বাচ্চা ছেলেদের সমীহ করলেও, ম্যাচ জিততে যে ইস্টবেঙ্গল বদ্ধপরিকর, তা পরিষ্কার।