এখন নিজের দেশে থাকলেও তাঁর মন পড়ে কলকাতায়। পুরনো ক্লাবের সব খোঁজখবরই রাখেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী এনরিকে এস্কোয়েদা। এমনকি ইস্টবেঙ্গল ডাকলে ফের লাল-হলুদ জার্সি গায়ে নেমে পড়তে চান মাঠে। ক্লাবকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে আগ্রহী তিনি। চলতি মরসুমের আই লিগে ৮ ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবলে পাঁচ নম্বরে। টানা তিন ম্যাচে হারের পরে চেন্নাই সিটি এফসি-কে হারিয়েছেন কোলাডোরা। ইস্টবেঙ্গলের ফিরে আসা দেখে সমর্থকদের সাথে আশায় বুক বাঁধছেন এনরিকেও। এদিকে, সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া স্প্যানিশ কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজকে বিঁধতেও ছাড়লেন না এই মেক্সিকান ফুটবলার।
মেক্সিকান স্ট্রাইকার ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে চলে গিয়েছেন অনেকদিন হল। তবুও আলেহান্দ্রোর ওপর থেকে অভিমান এখনও যায়নি এই মেক্সিকান তারকার। কেন তাঁকে ইস্টবেঙ্গল ছাড়তে হয়েছিল? মেক্সিকো থেকে এনরিকে বললেন, ‘টনি ডোভাল, জনি অ্যাকোস্টা, আমাকে এবং অবশ্যই মারিওকে কেন ইস্টবেঙ্গল ছাড়তে হয়েছিল তা আলেহান্দ্রোকেই জিজ্ঞাসা করে দেখুন। ও কি কোনও কারণ দেখাতে পারবে? আমাদের কেন সরে যেতে হয়েছিল, তার উত্তর আমার কাছে নেই।’
তবে ইস্টবেঙ্গলের নতুন হেড কোচ মারিও রিভেরাকে মেক্সিকো থেকে একবুক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এনরিকে। প্রসঙ্গত, আলেহান্দ্রোর সহকারী হিসেবে গত মরসুমে কাজ করেছিলেন মারিও। সেই মারিও-ই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মরশুম শেষে চলে যান স্পেনে। শোনা যায়, আলেহান্দ্রোর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণেই চলে যেতে হয়েছিল মারিওকে। এবার এনরিকেও সেই ঘটনারই ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে বোঝা যাচ্ছিল, এনরিকের ক্ষতে এখনও প্রলেপ পড়েনি।
আলেহান্দ্রোর উপর থেকে অভিমান না গেলেও, মারিও সম্পর্কে গভীর শ্রদ্ধাশীল ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার। তিনি বলছিলেন, ‘মারিও-ই তো আসল লোক। ফুটবল সম্পর্কে ওর অগাধ জ্ঞান। ওই তো দলটাকে তৈরি করেছিল। পিছন থেকে আসল কাজটা করত ও। সেই কারণেই মারিও গ্রেট। আলেহান্দ্রো মোটেও গ্রেট নয়।’ এদিকে, আগামী মাসেই স্পেন থেকে কলকাতায় পা রাখছেন মারিও রিভেরা। দলের রিমোট কন্ট্রোল হাতে তুলে নেবেন তিনি। তাই ইস্টবেঙ্গলের অসংখ্য ভক্তদের মতো এনরিকেও তাকিয়ে থাকবেন মারিওর দিকেই।