মঙ্গলবার সকালে দিল্লীতে এনসিসি–র অনুষ্ঠানে সিএএ ইস্যুতে বিরোধীদের ঠুকেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তার কিছুক্ষণ পরই একইভাবে জয়পুরের একটি জনসভায় সিএএ ইস্যুর সঙ্গেই দেশের ধসে পড়া অর্থনীতি নিয়ে মোদীকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অর্থনীতি সম্পর্কে মোদীর কোনও জ্ঞানই নেই বলেও কটাক্ষ করেছেন সোনিয়া তনয়।
কর্মসংস্থান নিয়ে মোদীকে বিঁধে রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দুকোটি চাকরি দেবেন। কিন্তু গত এক বছরে এক কোটি যুবক-যুবতী কাজ হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান সেখানেই শুধু সিএএ, এনআরসি নিয়েই কথা বলেন। কিন্তু সব থেকে বড় সমস্যা বেকারত্ব নিয়ে কোনও উল্লেখ হয় না। প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেন না।’
নোটবন্দী নিয়েও মোদী সরকারকে তুলোধনা করে রাহুল বলেছেন, ‘জিএসটি কী, মোদী তা জানেনই না। তিনি এমন মানুষ যিনি বিমুদ্রাকরণের সিদ্ধান্ত নেন। এখনও যদি একটা আট বছরের বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করেন নোটবন্দীতে তার সমস্যা হয়েছিল কিনা সে বলবে, হ্যাঁ। আগে আমরা চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। সারা বিশ্ব জানে চীনকে টক্কর দেওয়ার মতো আছে শুধু ভারতের যুব প্রজন্মই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, চীন আজ আমাদের অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে।’ নাম না করে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্য, ‘আগে সারা বিশ্বে ভারত সৌভ্রাতৃত্ব, একতা এবং ভালোবাসার জন্য আর পাকিস্তান বিভাজন আর ঘৃণার জন্য পরিচিত ছিল। ভারতের সেই ছবি নষ্ট করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।’ দেশে ক্রমাগত হারে বেড়ে চলা ধর্ষণের ঘটনাকে উল্লেখ করে এদিনও রাহুল ভারতকে সারা বিশ্বের মধ্যে ‘ধর্ষণের রাজধানী’ বলে মন্তব্য করেছেন।