মাস খানেক আগেই রাজ্যপালকে ঘিরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছিল শহর। সেদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যা হয়েছিল, ফের তেমনটাই হল মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। এদিন নজরুল মঞ্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকরের গাড়ি ঘেরাও করল পড়ুয়ারা। গো ব্যাক স্লোগানে মুখরিত নজরুল মঞ্চের ভিতর ও বাইরের চত্বর। যার ফলে শেষমেশ ফিরে যেতে বাধ্য হলেন রাজ্যপাল। এবং তাঁকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। কিন্তু এদিন সকাল সাড়ে ১২টা নাগাদ নজরুল মঞ্চ চত্বরে রাজ্যপালের গাড়ি প্রবেশ করতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন পড়ুয়ারা। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতেই বসে থাকার পর পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁকে নজরুল মঞ্চের পিছনের গেট দিয়ে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নজরুল মঞ্চের ভিতরেও প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। ছাত্ররা বলেন, রাজ্যপাল এখানে কেন্দ্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেয়, রাজ্যপাল থাকলে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে না।
এর পর একাধিকবার উপাচার্য সোনালি বন্দোপাধ্যায়ের হাতে মাইক নিয়ে পড়ুয়াদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু করা যায়নি সমাবর্তন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানেই মঙ্গলবার ডি-লিট পাওয়ার কথা নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু ছাত্রদের বিক্ষোভের জেরে শেষ মেশ পিছু হটেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, রাজ্যপালকে ছাড়াই সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে। তিনি নিজে অভিজিতের হাতে ডি-লিট তুলে দেবেন। তাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মঞ্চের সামনে থেকে সরে যান আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তার পরই মঞ্চের উপর আসতে শুরু করেন বিশিষ্টজনেরা। শুরু হয় অনুষ্ঠান।