জেএনইউয়ের আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তাঁর এই কাজের প্রশংসা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি বললেন, ‘দীপিকা জেএনইউতে হিংসা নিয়ে যেমন নীরবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাতে বোঝা যায়, কারও কারও কাছে সত্য, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার নিছক কথার কথা নয়। তারা এসবের জন্য আত্মত্যাগ করতে রাজি।’ একইসঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার নাম উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, ‘লাভাসার পরিবারকে নানাভাবে হেনস্থা করা সত্ত্বেও তিনি নিরপেক্ষভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন।’
রঘুরাম রাজন নিজের ব্লগে লিখেছেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, একদল মুখোশধারী গুন্ডা দেশের প্রথম সারির এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েছিল। তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর করেছে, ছাত্র ও শিক্ষকদের আক্রমণ করেছে, কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি। ব্যাপারটা খুবই উদ্বেগজনক।’ পরে সরাসরি দীপিকার নাম না করে বলেছেন, ‘ছপক’ সিনেমাটি অনেকে বয়কট করতে পারে জেনেও অভিনেত্রী যে ঝুঁকি নিয়েছেন, তাতে আমরা দেশের অবস্থা নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি।’
সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের প্রশংসা করে রঘুরাম রাজন বলেন, ‘বিভিন্ন মতে বিশ্বাসী তরুণ-তরুণীরা একসঙ্গে মিছিল করছেন। হিন্দু ও মুসলিমরা হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পতাকার পিছনে। রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের লাভের জন্য মানুষের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছেন। কিন্তু মানুষ তাদের কথায় কান দেননি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সংবিধানের শিক্ষা এখনও দেশের নাগরিকরা ভুলে যায়নি।’
নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসাবে একমাত্র লাভাসা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনী বিধি ভেঙেছেন। তাঁর নাম উল্লেখ না করে রাজন বলেন, ‘যখন কোনও নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সেজন্য তাঁর পরিবার বিপদে পড়তে পারে জেনেও পিছু হটেন না, তখন আমরা বুঝতে পারি, মানুষের সততাকে পুরোপুরি চাপা দেওয়া যায় না।’