মুখোশধারীদের তাণ্ডবে জেএনইউ রক্তাক্ত হওয়ার পরে উত্তাল গোটা দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে যখন বলিউডের অধিকাংশ মানুষই যখন চুপ, তখন আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। তারপর থেকেই নানারকম কটাক্ষ, তির্যক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন নায়িকা। এমনকি বিজেপি নেতা তাঁর সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ছপক’ বয়কটের ডাকও দিয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের ক্ষেত্রে কোনও রাখঢাক রাখছেন না বিজেপি নেতারা। এবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির বিধায়ক গোপাল ভার্গব অভিনেত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দীপিকার উপস্থিত হয়ে ঐশীদের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে বিষোদ্গার করেন তিনি। বিজেপি নেতার বক্তব্য, দীপিকার উচিত মুম্বই গিয়ে নিজের নাচ করা। তাঁর জেএনইউ যাওয়ার প্রয়োজনটাই কী? প্রশ্ন ওই বিধায়কের।
দীপিকার জেএনইউ পরিদর্শন নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘হিরোইনদের মুম্বইতে নাচ করা উচিত। কেন তিনি জেএনইউ যাবেন? আমি জানি না। তাঁর মতো অনেকেই আছেন। যদি তাঁরা রাজনীতি করতে চান, তাহলে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তাঁদের নির্বাচনে লড়া উচিত।’
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘অভিনেত্রীদের উচিত মুম্বইয়ে বসে নিজেদের ড্যান্স ড্যান্স খেলা। উনি জেএনইউ-তে কী করতে গিয়েছিলেন? রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন? আমি বুঝতে পারছি না। এরকম অনেক মানুষ হয়ে গিয়েছেন সমাজে যারা শিল্পী শিল্পী খেলা খেলছেন।’
দীপিকাকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংও। তিনি বলেন, ‘শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রী নয়, রাজনৈতিক নেতাদের একটা বড় অংশও এমন কাজ করছেন যেটা দেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। তারা এমন মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন যারা সন্ত্রাসবাদীদের হয়ে স্লোগান তুলে তাদের সমর্থন করেন, এবং এমন স্লোগান তোলেন যা দেশকে ভাগ করার করার কথা বলে।’
উল্লেখ্য, জাতীয় দক্ষতা বৃদ্ধির প্রোমোশনাল ভিডিও থেকেও দীপিকা বাদ পড়েছেন বলে খবর। যদিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, দীপিকার নাম বাদ পড়ার দায় তাঁদের নয়। এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে। কিন্তু একথা দিনের আলোর মতই স্পষ্ট যে, জেএনইউ-তে যাওয়ার পরে দীপিকার সঙ্গে এরকম কিছু ঘটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।