‘ফ্যাসিবাদী শক্তি আসামে বাঙালি নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে’- আসামে বাঙালিদের ভোগান্তি দেখে বারবারই এই অভিযোগ উঠেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে৷ ইতিমধ্যেই লাখ দুয়েক বাঙালি নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যস্ত। জেল খাটছেন ৯৮৮ জন। আবার ২৭ জন প্রাণও হারিয়েছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে। এই পরিস্থিতি দেখেই এনআরসিতে সাধারণ মানুষের ওপর আরও চাপ বাড়বে বলে মন্তব্য করলেন দেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরি।
বুধবার পূর্বাঞ্চলের সেনার সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে ‘দ্য রিসার্চ সেন্টার ফর ইস্টার্ন অ্যান্ড নর্থ ইস্টার্ন রিজিওনাল স্টাডিজ, কলকাতা (সেনার্স–কে)-র এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, এনআরসি নিয়ে চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। অন্যদের সঙ্গে গ্রামের অনেক বাসিন্দা আছেন যাঁরা কাগজপত্র দেখাতে পারবেন না।
আসামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক মহম্মদ সানাউল্লার ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী থাকার প্রসঙ্গ তুলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান বলেন, ‘একটা সানাউল্লার কথা আমরা জানতে পেরেছি। এরকম হয়তো আরও উদাহরণ আছে বা হবে। এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। আমরা ধর্মনিরপেক্ষই থাকতে চাই।’ একইসঙ্গে সেনার আধুনিকীকরণে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, দেশের সম্পদকে সমভাবে বণ্টন করতে হবে। অন্যদিকে, শঙ্কর রায়চৌধুরির সঙ্গে সুর মিলিয়ে আরেক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা মেজর জেনারেল অরুণ রায়ও স্পষ্ট বলেন, ধর্ম অনেক। ভারত এক।