সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন-সহ একাধিক ইস্যুতে বাম ও কংগ্রেস-সহ একাধিক শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় মিছিল ও বিক্ষোভ। জোর করে বাস বন্ধের চেষ্টা করে ধর্মঘট সমর্থকরা। বাস-অটো থেকে জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ দিন মালদার রথবাড়িতে সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানোর খবর পাওয়া যায়। বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ভাঙচুর শুরু করে ধর্মঘটীরা। গড়বেতা, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, বৈদ্যবাটি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে অবরোধকারীরা।
বারাসাতেও দফায় দফায় অশান্তি খবর পাওয়া যায়। ডাকবাংলো মোড় ও যশোর রোড কার্যত অবরুদ্ধ। ধর্মঘটীরা সব গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করছে। বৈদ্যবাটিতে বাসের চাবি কেড়ে নিয়ে চালককে নামিয়ে দেওয়া হয়। কলকাতায় নিউ টাউনের বালিগড়ি সিরিজ বাগান ১৬ নম্বর জলের ট্যাংকের সামনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন সিপিআইএম সমর্থক এসে রাস্তা অবরোধ করে। প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখার পর টেকনো সিটি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে হটিয়ে দেয়।
ধর্মঘটে তুমুল উত্তেজনা দেখা যায় বর্ধমান শহরে। স্কুল বাস পর্যন্ত আটকানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির লুকিং গ্লাস। পেট্রল পাম্পে ঢুকেও ধর্মঘটীদের অশান্তি পাকানোর খবর পাওয়া গিয়েছে।