জেএনইউ-তে ঐশী ঘোষের উপর হামলা ‘সাজানো নাটক’ বলে উল্লেখ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর দাবি, ‘মাথার ব্যান্ডেজকে বার বার দেখানো হচ্ছে। ওটা রক্ত না রং, তা কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।’ আর দিলীপের এহেন মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে ‘অমানবিক’ বলে আখ্যা দিয়ে তাঁকে সামান্য মানবিক হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যের মানুষকে সামান্য সম্মান দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছেন না দিলীপবাবু ও ওঁর পার্টি। ওঁকে বলব, একটু মানবিক হোন।’ ঐশীর মাথায় লাল রং ছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ। সেই বিষয়েও পার্থ বাবু কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। বলেন, ‘নিজের ওপর এমন ঘটলে দিলীপ বাবু কি বলতে পারতেন ঘটনা আসল না নকল? উনি নিজে কখনও রং মেখে মার খেয়েছেন?’ এখনও তো উনি মার খাননি, আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নই।’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। অভিযোগ করেন, ‘মেরে ফেলব, কেটে ফেলব, শ্মশানে পাঠাব বলে চলেছেন বিজেপি নেতারা। আপনারাই সব নন, বাংলা এভাবে দখল করতে পারবেন না। সবাইকে অপমান করছেন বিজেপি নেতারা।’
অপরদিকে, দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘দিল্লী এইমসে তো এখন বিজেপিরই মাতব্বরি। সেখানে নিশ্চয়ই জেএনইউ পড়ুয়াদের হয়ে মিথ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে না। দিলীপ বাবুর মনে হলে তিনি এইমসে গিয়ে আসল রিপোর্টটা খতিয়ে দেখে আসুন।’
শুধু রাজনীতিকরাই নন, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে কলকাতার সুশীল সমাজও। জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন কলকাতায় মিছিলে হাঁটেন কৌশিক সেন, অঞ্জন দত্ত, অনীক দত্ত, ঋদ্ধি সেন, মন্দাক্রান্তা সেনের মতো মানুষজন। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে অত্যন্ত অসংবেদনশীল বলে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ‘বিজেপি ও আরএসএস গোটা দেশেই ধর্মীয় রাজনীতি করছে। মানুষ ওঁদের ছুঁড়ে ভাগাড়ে ফেলবে।’