গতবছরে ভূ-স্বর্গে ৩৭০ ধারা লোপের পর কাশ্মীরের নবজন্ম হয়েছে। সেখানে পাথর ছোঁড়া কমে গিয়েছে৷ সংসদ ও সংসদের বাইরে অবলীলায় এমনই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই পাথরবাজদের দমন করতে কী না করেছে প্রশাসন? গণ হারে জেলে ভরেছে স্থানীয় নেতা-নেত্রী থেকে আম জনতাকে৷ যোগযোগ দিনের পর দিন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল৷ প্রশাসনিক দিক থেক যতটা সম্ভব দমন পীড়ন চালানো হয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করেছে৷ আগের সেনা প্রধান রাওয়াতও বার বার বলেছিলেন কাশ্মীর অনেকটা শান্ত হয়েছে৷
তবে বাস্তবে তাঁদের সব দাবি ভুল বলে প্রমাণিত হল৷ একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, উনিশের ৫ আগস্টের পর থেকে মোট ১১৯৩ বার উপত্যকায় পাথরবাজদের হামলা হয়েছে৷ সদ্য প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-এ অনেকাংশেই বেড়েছে পাথরবাজদের হামলার ঘটনা। পাশাপাশি গত বছর মোট ১৯৯৯টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে উপত্যকায়। পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে যে গত বছরের আগস্টে সর্বাধিক ৬৫৮ বার পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। মে মাসে সেই সংখ্যা ছিল ২৫৭। সেপ্টেম্বর, এপ্রিল, অক্টোবর, ফেব্রুয়ারি, নভেম্বরে মোট ২৪৮, ২২৪, ২০৩, ১০৩ ও ৮৪টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা কাশ্মীরে ঘটে বলে জানা যাচ্ছে।
২০১৮ এবং ২০১৭ সালে রাজ্যে যথাক্রমে ১৪৫৮ ও ১৪১২টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ওই সময় হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর গোটা কাশ্মীর জুড়ে অশান্তির আবহে সরকারি হিসেব অনুযায়ী ২৬৫৩টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা সামনে আসে। কিন্তু গত ২ বছরের তুলনায় যে ২০১৯ এ মূলত ৫ আগস্টের পর সেখানে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা নতুন রিপোর্টেই পরিষ্কার।