এনআরসির পর আসামে নাগরিকপঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার জন মানুষ বন্দি রয়েছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে। ভবিষ্যৎ জানা নেই। দুধের শিশু থেকে শেষ প্রহরের শ্বাস নেওয়া বৃদ্ধ, সরকারি নিয়মের গেরোয় সকলের ঠাঁই হয়েছে দুঃস্বপ্নের সেই ডিটেনশন ক্যাম্পে। আর কোনও রাস্তাও নেই যে। অসমের খলনায়ক এনআরসির কোপে পড়ে ভিটেমাটি হারিয়েছেন অসমের বহু মানুষ। যাদের মধ্যেই অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে এই ক্যাম্পে। এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে ডিটেনশন ক্যাম্পের ভয়াবহতা। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত এই ডিটেনশন ক্যাম্পের গেরোয় পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জন মানুষের। আরএকের পর এক এই মৃত্যুই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আরও বিতর্ক বাড়িয়ে তুলেছে ।
সূত্রের খবর সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ দিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় ডিটেনশন ক্যাম্পে পড়ে থাকলেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি আসামের বিজেপি সরকার। শেষ মুহূর্তে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এভাবে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপি সরকারকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছে বিরোধীরা। বলা হচ্ছে, ‘হিটলার যেভাবে বিরোধীদের ধরে ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢোকাত। এবং একটা সময়ের পর সেই ক্যাম্পে বিসাক্ত গ্যাস ছেড়ে দিয়ে হত্যা করা হত। ডিটেনশন ক্যাম্পের অন্দরে হয়ত সেটাই করছে বিজেপি সরকার। যার জেরেই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে।’