ইতিহাস বদলে দেওয়ার বা ইতিহাসকে অস্বীকার করার ধারা গেরুয়া শিবিরে নতুন কিছু নয়। এবার ঘটল সেই একই ঘটনা। এতদিন সবাই জানত ভারতীয় সংবিধানের খসড়ার রচয়িতা বি.আর আম্বেদকর। কিন্তু এই সত্যিকে উলটে দিলেন গুজরাত বিধানসভার স্পিকার রাজেন্দ্র ত্রিবেদী। তিনি জানালেন, বিআর আম্বেদকর নন সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিলেন একজন ব্রাহ্মণ, বিএন রাও!
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘ইতিহাস আমাদের জানায়, ব্রাহ্মণরা সবসময় অন্যদের পাশে থাকেন, তাঁদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন। বিএন রাও আম্বেদকরকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা গর্বিত যে, আম্বেদকর ২৫ নভেম্বর ১৯৪৯ সালে নিজের বক্তৃতায় সেকথা উল্লেখও করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যে কৃতিত্ব আমাকে দেওয়া হচ্ছে, তা কখনই আমার নয়। সেটা বিএন রাওয়ের প্রাপ্য।’
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির উপস্থিতিতে আমেদাবাদে ‘মেগা ব্রাহ্মণ বিজনেস সামিট’–এর দ্বিতীয় সংস্করণের উদ্বোধনে এসে রাজেন্দ্র ত্রিবেদী বলেন, ‘আপনারা জানেন, ৬০টি দেশের সংবিধান পড়ে তারপর আমাদের সংবিধানের খসড়া কে তৈরি করেন? জানেন কে সেই খসড়া তৈরি করে বিআর আম্বেদকরকে দিয়েছিলেন? সংবিধানের কথা আসতেই আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে আম্বেদকরের নাম নিয়ে থাকি। কিন্তু আম্বেদকর নিজে বলেছিলেন, সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিলেন বেনেগাল নরসিং রাও– যিনি একজন ব্রাহ্মণ ছিলেন।’
গতকাল তাঁর বক্তব্যে বারেবারে স্পষ্ট হয় গেরুয়া শিবিরের হিন্দুত্ব তোষণ নীতি। তাই বারেবারে তিনি ভারতীয় সংবিধানে বি.আর.আম্বেদকরের অবদান অস্বীকার করে গেলেন। উল্টে বি.এন.রাওকে কৃতিত্ব দিয়ে গেলেন। এর সঙ্গেই তিনি বলেন, নোবেলজয়ী ন’জন ভারতীয়ের মধ্যে সাতজনই ব্রাহ্মণ। যেমন–অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।