বুধবার রাতে যুবভারতীতে মুখোমুখি লিগ টেবলে দু’নম্বর ও তিন নম্বর স্থানে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি আর এটিকে। দুই টিম মিলিয়ে ভারতীয় সিনিয়র টিমের গোটা দশেক ফুটবলার। সঙ্গে রয়েছেন রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস, ডিমাস ডেলগাদোর মতো ফর্মে থাকা বিদেশি ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-বার্সেলোনার ছোঁয়া থাকা দুই কোচ। এমন ম্যাচে টিকিটের চাহিদা যথেষ্ট। কিন্তু পুলিশের আপত্তিতে এই ম্যাচে গ্যালারিতে কুড়ি হাজারের বেশি দর্শক ঢুকতে দেওয়া হবে না। বড় দিনের দিন সল্টলেক এলাকায় ইকো পার্ক, সায়েন্স সিটি, নলবল, নিকো পার্ক মিলিয়ে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। সেটা সামাল দিতে হয় বিধাননগর পুলিশকে। তাই বড়দিনে আইএসএলের এই ম্যাচ বাতিল হতে বসেছিল। পরে পুলিশের সক্রিয়তায় ও এটিকে নিজস্ব তিনশো জন সিকিউরিটি দেওয়ায় মাঠে ২০ হাজার দর্শক ঢোকার অনুমতি দিয়ে ম্যাচটা করানো হচ্ছে।
সোমবার রাত আটটা নাগাদ কলকাতায় আসে বেঙ্গালুরুর দল। পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই এসেছেন গুরপ্রীত সিংরা। দলে নেই কোনও চোট সমস্যা। হোটেলে চেক-ইন করার সময়ে সুনীল ছেত্রী বললেন,‘ভারতীয় ফুটবলে ভালোমন্দ মিশিয়ে গেল বছরটা। কাতার ম্যাচ যে কোনও ভারতীয়র কাছে অনুপ্রেরণা।’ বিএফসি এই ম্যাচটিকে দারুণ গুরুত্ব দিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রথম দিকে ৪-৪-২ পদ্ধতিতে শুরু করলেও এখন তারা ৪-১-৪-১ পদ্ধতিতে খেলছে। সুনীলকে আপফ্রন্টে রেখে শুরু করলেও আশিক কুরিয়ানকে দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে তুলে আনা হচ্ছে। রয় কৃষ্ণা-উইলিয়ামদের আটকাতে রক্ষণে হুয়ানই বড় ভরসা। বুধবার বিএফসি’কে সমর্থন করার জন্য গ্যালারিতে থাকছেন সুনীল ছেত্রীর স্ত্রী।
আগামীকাল কাল রাতে বড় চ্যালেঞ্জ হাবাসের টিমের। কলকাতা টিমের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল জাতীয় টিমে বহু ম্যাচ খেলেছেন সুনীলের সঙ্গে। প্রতিপক্ষ হিসেবে সেই সুনীল কেমন? প্রীতম বলছিলেন, ‘যে কোনও টিমের বিরুদ্ধেই সুনীল ভাই বড় ফ্যাক্টর। ওকে আটকানোর জন্য আমাদের কোচ নিশ্চয়ই আলাদা কিছু পরিকল্পনা করবেন। তবে আমরা একা সুনীল নয়, পুরো বেঙ্গালুরু টিমকে নিয়েই ওয়ার্ক আউট করছি। টিমে উদান্তা, রাহুল, আশিকের মতো ভালো স্থানীয় ফুটবলারের পাশাপাশি দিমাস, রাফায়েলের মতো স্প্যানিশ ও ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রয়েছে। তাই ওরা খুব কমপ্যাক্ট টিম।’
এটিকে’র সহকারী কোচ সঞ্জয় সেন জানালেন,‘গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আমরা তিনজন নির্ভরযোগ্য ফুটবলারকে পাব না। প্রণয় হালদার ও আনাস এখনও রিহ্যাবে আছে। হায়দরাবাদ ম্যাচে চোট পেয়েছে এডু গার্সিয়া। ওকেও এই ম্যাচে পাওয়া যাবে না। বিএফসি’র প্রাক্তন স্টপার জন জনসন আমাদের দলেই আছে। কিন্তু ওর চোট সারেনি। তাই বেঙ্গালুরুর মতো একটি সুসংহত দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে আমরা কিছুটা সমস্যায়। তবে ম্যারাথন লিগে চোট থাকবেই। গতবারের তুলনায় এবার আমাদের দলে ভারসাম্য বেশি। রয় কৃষ্ণা আর উইলিয়াম ছন্দে আছে। ঘরের মাঠে এই ম্যাচটি জেতার জন্য চেষ্টার কসুর করব না।’