যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাকর্মীদের বাধার মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সোমবার কোর্ট মিটিংয়ে যোগ দিতে এদিন দুপুরে যাদবপুরে যান তিনি। কিন্তু গেটে ঢোকার মুখেই কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। গাড়ি থেকে নামতেই পারেননি রাজ্যপাল।
আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সমাবর্তন অনুষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের হাত থেকে শংসাপত্র নেবেন না তাঁরা। গন্ডগোলের আশঙ্কায় রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানাননি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্যপাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে। তার ঠিক আগের দিন, আজ, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন রাজ্যপাল।
কিন্তু আগে থেকেই কালো পতাকা, ব্যানার নিয়ে জমায়েত করেছিলেন পড়ুয়া, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীরা। রাজ্যপাল আসতেই সকলে ঘিরে ধরেন গাড়ি। ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। সিএএ-র বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন পড়ুয়ারা। তাঁরা পোস্টার লিখে জানিয়ে দেন, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ নন। এমনকী তাঁকে ‘পদ্মপাল’, ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলেও কটাক্ষ করা হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলছে এই বিক্ষোভ। তাঁর গাড়ির বনেটে ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রবল জমায়েত ঠেলে এগোতেই পারেনি রাজ্যপালের গাড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী ও রাজ্যপালের দেহরক্ষীরা ভিড় সরানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। ভিড়ের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হন রাজ্যপাল।
বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষাকর্মীদের দাবি, ‘সারা দেশজুড়ে এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে যে অশান্তি চলছে, সেখানে সাংবিধানিক ভূমিকা পালন করছেন না আমাদের রাজ্যপাল। আমরা ওঁকে আচার্য মনে করছি না। মেনে নিচ্ছি না এই ক্যাম্পাসে ওঁর উপস্থিতি। কয়েক মাস আগেও ওঁর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর হয়েছে। ওঁকে আমরা মানছি না। অহিংস ভাবে প্রতিবাদ ও বিরোধিতা জানিয়েছি আমরা। কোনও রকম হেনস্থা করা হয়নি।’