‘আমার জীবন থাকতে বাংলায় এনআরসি হবে না’ সাঁইথিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে এমন কথা দিয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার সাঁইথিয়ার মুরাডিহি কলোনি মাঠের অনুব্রত মণ্ডলের সভায় দেখা গেল জনসমুদ্র। শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলের কথা শুনতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ল। অনুব্রত মণ্ডল এই সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন, এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসির বিরোধীতায় সরব হন৷ রবিবারের এই সভায় অনুব্রতবাবু ছাড়াও ছিলেন বোলপুরের সংসদ সদস্য অসিত মাল, দলের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, মলয় মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা প্রমুখ ছিলেন।
অনুব্রত বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তোমরা দু’জন মিলে ভাবছ ভারতবর্ষটা নিজেদের জমিদারি। তোমরা ভাবছ যা করবে মানুষ তা মেনে নেবে। কিন্তু মানুষ তা মানবে না। তোমরা সিএএ করবে, এনআরসি করবে আর আমরা বাড়িতে চুপচাপ বসে থাকব? পশ্চিমবঙ্গের মাটি স্বাধীনতার মাটি। ভুলে যেও না”। তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে সারা দেশে আগুন জ্বলছে। উত্তরপ্রদেশে গুলি করে মেরে দেওয়া হচ্ছে। বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট সব জায়গাতেই আগুন জ্বলছে। আমরা কি বোকা? যত চালাক নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ? ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরা থাকতে এরকম আইন তো করেননি। ইন্দিরা গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী ছিলেন। তাঁরা এরকম আইন তো করেননি”।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতে সাঁইথিয়ার এই সভায় হিন্দু ও মুসলিম ও খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী তিনজনকে মঞ্চে সাজানো হয়। পাশাপাশি ভারতমাতার সঙ্গেও তাঁদের হাতে শোভা পায় জাতীয় পতাকা। তৃণমূলের দাবি, সমাজের সৌহার্দ বজায় রাখতেই তিন ধর্মের মানুষ যে একসঙ্গে সহাবস্থান করছেন সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে।