নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। সেই ঝড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মোদী সরকার। এই ঝড়ে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম উত্তরপ্রদেশ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন সাধারণ মানুষ। এইসব পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতেই উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার কথা তৃণমূলের চার সদস্যের এক দলের। তবে এই দলকে সেই কর্মসূচিতে যাওয়ার অনুমতি দিল না যোগী পুলিশ। লখনউ বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হবে জানালো উত্তরপ্রদেশের ডিজি ওপি সিং।
অনুমতি না দেওয়ায় পেছনে তাঁর ব্যাখ্যা, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তৃণমূল প্রতিনিধিদের লখনউ ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় ডিজি বলেছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা খানে আসতে চাইছেন। আমরা তাঁদের এটার অনুমতি দেব না কারণ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। ওঁরা এলে বিমানবন্দর থেকেই ওঁদের ফেরত পাঠানো হবে।’
উল্লেখ্য, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত তিন দিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তরপ্রদেশে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে দলীয় সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দলকে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাতে শামিল রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যসভার সাংসদ মহম্মদ নাদিমূল হক এবং আবির বিশ্বাস। সেই নিয়ে শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয় তৃণমূলের তরফে।
অতীতেও একই কাজ করা হয়েছিল। এনআরসি নিয়ে আসামে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে শিলচরে পাঠিয়েছিলেন মমতা। তখনও আসাম পুলিশ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরের বাইরে বেরোতে দেননি। তা নিয়ে কম ধুন্ধুমার হয়নি। আসল চিত্র লোকাতেই কি এই সিদ্ধান্ত? এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।