জিডিপি নামছে, ঋণের দায়ে জর্জরিত ব্যাঙ্কগুলি ঢুকে আইসিইউতে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, ধ্বংসের মুখে চলে যাওয়া ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘বাঁচিয়ে’ দিয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। আজ থেকে পাঁচ-ছয় বছর আগে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হওয়ার দিকে এগোচ্ছিল। সেই জায়গা টেনে শুধু স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসা নয়, ভারতীয় অর্থনীতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধও করেছে এই সরকার। শুক্রবার এক বিজনেস সামিটে উপস্থিত হয়ে এমনই দাবি শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে।
‘আজ থেকে পাঁচ-ছয় বছর আগে অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের সরকার কেবল সেটাকে স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসেনি, বরং এসে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। শিল্প সমাজের কয়েক দশকের দাবি-দাওয়াগুলি আমরাই পুরো করার দিকে নজর দিয়েছি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়েই সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। তখনই এই মন্তব্য করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারই জানিয়েছে, গত ত্রৈমাসিকে ৪.৫ পয়েন্টে নেমেছে জিডিপি। যা ২০১৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ। সেই অবস্থায় মোদীর এহেন মন্তব্য হতবাক করেছে শিল্প মহলকে।
এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বলতে শোনা যায়, ‘আজ আপনারা এমন একটা সরকার পেয়েছেন যারা কৃষকদের কথা শোনে, শ্রমিকদের কথা শোনে, এমনকি শিল্প মহলের কথাও শোনে।’ অন্যদিকে রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলি ঋণের দায়ে ডুবে থাকলেও মোদীর মুখে এদিন উল্টো দাবিই শুনতে পাওয়া গিয়েছে। ‘আমরা ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণ করে এর কাজের প্রক্রিয়া আরও সহজ করে দিয়েছি। এই পদক্ষেপের কারণেই ব্যাঙ্কের শাখাগুলি আজ দেশের প্রত্যেক কোণায় ছড়িয়ে ফুলেফেঁপে উঠছে। আন্তর্জাতিক স্তরেও নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে।’
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে গতিতে ভারতীয় অর্থনীতি এগোচ্ছে, তাতে কোনও ভাবেই ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতি পৌঁছন সম্ভব নয় দেশের। অথচ এদিনও মোদীর মুখে সেই ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দাবি শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘আমি যখন এই লক্ষ্য ঠিক করেছি তখন সেটা অর্জন করবই।’