দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আগেরবার শেষ চারের লড়াইয়ে ছিল টিম। তবে নতুন মরশুমে আরও এক ঝাঁক চমক নিয়ে দল সাজিয়েছে নাইট শিবির। সেই দল কেমন হল সেই নিয়ে আগ্রহী নাইট প্রেমীরা।
পাঞ্জাবের শুভমান গিলকে কলকাতা নাইট রাইডার্স নিয়েছিল ১ কোটি ৮০ লক্ষের বিনিময়ে। তাঁকে এ বার রেখে দিয়েছিল নাইট রাইডার্স। শুভমন দেশের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিশতরান করেছেন। ওপেনিংয়ে তাঁকে নামিয়ে চমকে দিতে পারে দল। অন্যদিকে আইপিএলের দুই মরশুমে থাকলেও চোটের কারণে খেলতে পারেননি তিনি। তবে এবারও কমলেশ নগরকোটির ওপর ভরসা রাখছে নাইট শিবির। রাজস্থানের এই পেসারকে দল নিয়েছিল ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে।
গত মরসুমের মতো এ বারও শিবম মাভি খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। উত্তরপ্রদেশের এই তরুণ পেসারকে পেতে দল ব্যয় করেছে মোট ৩ কোটি টাকা। তামিলনাড়ুর অলরাউন্ডার বরুণ চক্রবর্তী গত মরশুমে ছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে। এ বছর ৪ কোটি টাকার বিনিময়ে তাঁকে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রহস্য স্পিনার আইপিএলে কী চমক দেখাতে পারেন, সেটাই দেখার।
এখনও অবধি একটাই প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তামিলনাড়ুর এম সিদ্ধার্থ। টি-২০ খেলেছেন পাঁচটি। ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই বোলার এ বার খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। নাইটবাহিনীর মহার্ঘ্য ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম সুনীল নারিন। ক্যারিবিয়ান এই স্পিনার অলরাউন্ডার নাইটরাইডার্সে থেকে গিয়েছেন ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। বোলার নারিনের পাশাপাশি ওপেনিংয়েও নারিন ঝড়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে কেকেআর।
আর এক বোলার হ্যারি গার্নি অবশ্য অতটা দামি নন। ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটারকে নাইট রাইডার্সের রেখে দিয়েছিল ৭৫ লক্ষের পরিবর্তে। হ্যারির সতীর্থ, ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের নিলামে দর উঠেছে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। তাঁকে রীতিমতো লড়াই করে ছিনিয়ে নিয়েছে কেকেআর। দলের চার নম্বরে ব্যাট করতে দেখা যাবে তাঁকে।
গত কয়েক মরশুম ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সম্পদ আন্দ্রে রাসেল। ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডারকে নাইট রেখে দিয়েছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকায়। গত মরশুমের মতো দীনেশ কার্তিক এ বারও কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক থাকছেন। ভারতীয় উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যানের জন্য ৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে শাহরুখের দল।
মুম্বইয়ের সিদ্ধেশ লাদ মূলত ব্যাটসম্যান। তিনি এ বার কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলবেন ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। ২০১৮-১৯ মরশুমে রঞ্জি ট্রফিতে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাহুল ত্রিপাঠি। আইপিএল-এ এর আগে তিনি পুণে এবং রাজস্থানের হয়ে খেলেছেন। এ বছর খেলবেন কলকাতার স্কোয়াজে। নিলামে তাঁর দর উঠেছিল ৬০ লক্ষ টাকা।
পাঁচ বছর পরে অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সে। অস্ট্রেলিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন এ বার সাড়ে ১৫ কোটি টাকার বিনিময়ে খেলবেন নাইট বাহিনীতে। আইপিএল নিলামের ইতিহাসে এই পেসার অলরাউন্ডার মহার্ঘ্যতম বিদেশি ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ডের বোলার লকি ফার্গুসনকে কলকাতা নাইট রাইডার্স রেখে দিয়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। নাইটদের পেস ব্যাটারিতে গতির তুফান আনবেন তিনি, আশা করছেন ফ্যানেরা।
নিখিল নায়েক ২০১৮-১৯ মরসুমে রনজি ট্রফিতে আত্মপ্রকাশ করেছন। মহারাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক নাইটবাহিনীতে খেলছেন ২০ লক্ষ টাকায়। দলের স্পিন আক্রমণের অন্যতম প্রধান শক্তি কুলদীপ যাদব নাইট রাইডার্সে খেলছেন ৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। গত বারের খারাপ পারফরম্যান্স শুধরে নিতে চাইবেন এই চায়নাম্যান।
আইপিএল-এর ইতিহাসে প্রবীণতম ক্রিকেটার হলেন মহারাষ্ট্রের প্রবীণ তাম্বে। ৪১ বছর বয়সে তিনি আইপিএল খেলতে শুরু করেছেন। ৪৮-এর এই স্পিনারকে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলে নিয়েছে নাইট রাইডার্স। কেরলের বোলার সন্দীপ ওয়ারিয়র নাইট রাইডার্সে খেলবেন ২০ লক্ষ টাকার পরিবর্তে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রানমেশিন বলে পরিচিত দিল্লীর অলরাউন্ডার নীতিশ রানাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স রেখে দিয়েছে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। চলতি বছরের মে মাসে তিন মাসের জন্য বোর্ডের নির্বাসনের খাঁড়া নেমে এসেছিল রিঙ্কু সিংহের উপরে। বিনা অনুমতিতে আবুধাবিতে টি-২০ লিগ খেলতে যাওয়ার জন্য। উত্তরপ্রদেশের এই ব্যাটসম্যান নাইট রাইডার্সে এ বারও খেলবেন ৮০ লক্ষের বিনিময়ে।
ব্রিটিশ ক্রিকেটার টম ব্যান্টন টি-২০ ফরম্যাটে সফল ক্রিকেটার। এই ব্যাটসম্যান নাইটরাইডার্সে খেলবেন ১ কোটি টাকার বিনিময়ে। কর্নাটকের ডান হাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে নাইট রাইডার্স রেখে দিয়েছে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস গ্রিন এখনও দেশের হয়ে খেলেননি। তিনি মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটের মুখ। এ বার খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। নিলামে এই অলরাউন্ডারের দাম উঠেছিল ২০ লক্ষ টাকা।