সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুলিসের দমন-পীড়নের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মেঙ্গালুরুতে পুলিশের সংঘর্ষে সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুই বিক্ষোভকারীর। সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘিরে কার্যত আগুন জ্বলছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। মানুষের বিক্ষোভকে সামলাতে ব্যর্থ যোগীর পুলিশ। তাই চলছে পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস। মারা গিয়েছেন এক বিক্ষোভকারী। এখনও অবধি তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
দেশের সর্বত্রই এদিন ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আঁচ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যাঙ্গালুরুতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। জারি হয়েছে কার্ফু। দিল্লী, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, পটনা, লখনউ, চণ্ডীগড়, আমেদাবাদে মিছিলে, বিক্ষোভে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সাধারণ মানুষ। আমেদাবাদে লাঠি চালায় পুলিশ। হায়দ্রাবাদের চারমিনারের কাছে বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। বাম ও কংগ্রেসের ডাকা বনধে বিহারের পটনা, দ্বারভাঙায় আটকে দেওয়া হয় ট্রেন।
এদিন ছাত্র ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে শহরের পাঁচটি থানা এলাকায় শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি হুবলি, কালবুর্গি, মাইসুরু এবং বল্লারিতে পুলিস শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে দিল্লীও। ১৪৪ ধারা জারি করে, ইন্টারনেট বন্ধ রেখেও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেল পুলিশ। আটক করা হলো বাম-কংগ্রেস নেতাদের। আটক কয়েকশো পড়ুয়া। জামিয়া মিলিয়া, আলিগড়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশের লাঠির নিন্দা জানাতে এদিন বেলা বারোটায় দিল্লিতে মিছিলের ডাক দেয় বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন। সামিল হয় অন্যরাও। কিন্তু কুয়াশা কাটার আগেই সকাল ন-টা থেকে লাল কেল্লা ও মাণ্ডি হাউসের সামনে শুরু হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত। মিছিল আরম্ভ হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় পুলিসের ধরপাকড়ও। নামানো হয় র্যাফ।