ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ধরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। দেশের নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়েছে। এই আবহেই বারবার নাম উঠে এসেছে যোগী রাজ্যের। যা পরিস্থিতি তাতে প্রতিদিন অন্তত একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই সেখানে। বিষয়টি গা সওয়া হয়ে গিয়েছে যোগী প্রশাসনেও! কিন্তু, সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের অমানবিকতার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সবাই। সরকারি হাসপাতালে কোনও স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ার ছিল না। তাই এক ধর্ষিতা কিশোরীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পিঠে বয়ে আনতে হয় তাঁর বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের এটোয়া জেলার মারহেরা থানা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ ডিসেম্বর ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে জোর করে নিজের ঘরে নিয়ে যায় প্রতিবেশীর ১৯ বছরের ছেলে। তারপর বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি প্রতিরোধ ও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার পা ভেঙে দেয়। বহুক্ষণ পর সুযোগ পেয়ে নিজের বাড়িতে যায় মেয়েটি। তারপর পরিবারের লোকেদের সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে। তার ভিত্তিতে পরেরদিন মারহেরা থানায় এফআইআর(FIR) দায়ের করে পুলিশ। আর ১৫ তারিখ অভিযুক্ত অঙ্কিত যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেয়েটিকেও মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আর বিপত্তি শুরু হয় তারপরই। বিচারকের সমানে জবানবন্দি দেওয়ার পরেই মেয়েটি মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এর জন্য এক মহিলা কনস্টেবলকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। সরকারি হাসপাতালে কোনও স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ার ছিল না। তাই মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে নিজের পিঠে করে বয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় তার বাবা। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়।