ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের হাল-হকিকত বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমলে যেমন প্রচুর বিদেশি লগ্নী আসায় উন্নতি ঘটেছে রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে, তেমনি একের পর এক জনকল্যানমুখী প্রকল্প এনে বাংলার মানুষের দুর্ভোগ কমিয়েছেন মমতা। তারই ফলস্বরূপ এবার দেখা গেল, সাত বছরে কলকাতায় দারিদ্র এক ধাক্কায় কমছে প্রায় ৮৬ হাজার।
শুধু তাই নয়, আর্থিক স্বচ্ছলতা ও অন্যান্য কারণে কলকাতার নতুন বিপিএল তালিকা থেকে বাদ পড়ল ৩৩,৯১৫টি পরিবার। স্বভাবতই সরকারি পরিসংখ্যানের নিয়ম মেনে মহানগরের বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা প্রাপকের চাহিদাও কমে আসছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বাংলায় অসংখ্য সামাজিক ও পরিষেবামূলক কর্মসূচী চালু হওয়ার প্রভাবেই গ্রামের পাশাপাশি শহরেও দারিদ্র কমেছে। আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধির কারণেই বিপিএল তালিকাও পরিবর্তন করা হচ্ছে। শীঘ্রই তা কার্যকর হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগের অধীনে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (এনএসও)-এর তথ্য থেকে স্পষ্ট, ৬ শতাংশ দারিদ্র কমেছে বাংলায়। রাজ্যের গ্রামের পাশাপাশি শহরেও গরিবিও গত কয়েক বছরে কমেছে অনেকটাই। ২০১১-২০১২ সালে গ্রামে ১৯.৯৮ শতাংশ বাসিন্দা দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করতেন, শহরে গরিব ছিলেন ১৪.৬৬ শতাংশ মানুষ। কিন্তু গত সাত বছরে বাংলায় গ্রাম ও শহরে এই সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈঠকে সংশোধিত বিপিএল তালিকায় পুরনো ৩৩৯১৫টি পরিবারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। খসড়া তালিকায় নতুন সংযোজিত হল ১৮৮৮৭টি পরিবার। আগে কলকাতার ১১৪টি ওয়ার্ডে দারিদ্রসীমার নিচে ছিলেন ১২৯২৭৩৮ জন। পরিমার্জিত বিপিএল তালিকায় ঠাঁই পাওয়া গরিব মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০৭০১৯। দারিদ্রসীমার নিচে বাসিন্দা কমল ৮৫৭১৯ জন।