আগামী ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার বুকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে টাটা স্টিল কলকাতা ম্যারাথন। তিলোত্তমার বুকে একসঙ্গে দৌড়াবেন কয়েক হাজার শহরবাসী। আর তাঁদের উজ্জীবিত করতে উপস্থিত থাকবেন দেশ বিদেশের বিখ্যাত কয়েকজন অ্যাথলিট। পাশাপাশি, এবার এই ম্যারাথন উন্নীত হয়েছে সিলভার লেভেল রোড রেস। বিশ্বের আর কোনও রোড ম্যারাথনের এই স্বীকৃতি নেই। ফলে কলকাতার মুকুটে এটা একটা বড় পালকই বটে।
যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন উন্মাদনা পারদ চড়ছে কলকাতা ম্যারাথনকে কেন্দ্র করে। গতবার এই ম্যারাথনের ইভেন্ট অ্যাম্বাসাডর হয়েছিলেন অলিম্পিকসে চারবারের সোনা জয়ী ডাইভার গ্রেগ লুগানেস। আর এবার এই কলকাতা ম্যারাথনের মুখ আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপার হার্নান ক্রেসপো। তবে দৌড়ের আগে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কেনিয়ার লিওনার্দ বারসোটন, ইথিওপিয়ার তারিকু বেকেলে, আমেরিকার স্ট্যানলি কেবেনেই, তানজানিয়ার মাতাঙ্গারা।
বারসোটনিস ওয়ার্ল্ড ক্রস কান্ট্রি ম্যারাথনে দুইবারের রৌপ্য পদকজয়ী। তারিকু বেকেলে আবার ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ১০ হাজার মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। গত দুই বছর ধরে কলকাতা ম্যারাথনে তৃতীয় হয়েছেন মাতাঙ্গা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বারসোটন জানান, ‘প্রথমে কলকাতায় আসব কিনা ঠিক ছিল না। কিন্তু আমন্ত্রণ আসার পর আর ভাবিনি। একটা হালকা চোট ছিল। তবে এখন সমস্যা নেই।’
এবার প্রথম এই কলকাতা ম্যারাথনে দৌড়বেন তারিকু বেকেলে। ‘আমার দাদা এখানে দৌড়ে প্রথম হয়েছে। ওই আমার অনুপ্রেরণা। ও নিজের অভিজ্ঞতা আমায় শুনিয়েছে। আশা করবো ওর মতোই আমিও বিজয়ী হতে পারবো’, বলেন তিনি।
মহিলা দৌড়বিদদের মধ্যে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন দেবেলে ও মাটাঙ্গা। দুজনেই জানালেন এই কলকাতা ম্যারাথন জিততে মুখিয়ে আছেন তারা। তবে কথোপকথনে উঠে এলো জুতোর প্রসঙ্গ। সম্প্রতি বিভিন্ন ক্রীড়া প্রস্তুতকারক সংস্থা দৌড়বিদদের জন্য উন্নত মানের জুতো নিয়ে এসেছে। সেই জুতো ব্যবহারের ফলে ফুল ম্যারাথনে আথলিটদের টাইমিং প্রায় দুই মিনিট কমে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে এই দৌড়বিদদের প্রশ্ন করা হলে সকলেই এক সুরে জানান, দৌড়টা সবসময় দৌড়বিদদের মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রমের ওপরই নির্ভর করে। জুতো তো নিমিত্ত মাত্র।