২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর বিনা নোটিশেই পুরোনো ৫০০ ও ১০০০-এর নোট বাতিল করে মোদী সরকার। বিদেশে ছড়িয়ে থাকা কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতেই এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই জানিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু দেশে কালো টাকার কিছুই ফেরেনি, বরং এর ফলে সমস্যায় পড়েছিলেন দেশের সাধারণ জনগণ। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলগুলির অন্দরে, এমনকি জনমানসেও।
এবার এই কালো টাকা নিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালো বিজেপি সাংসদই। ভারতে কত পরিমাণ কালো টাকা রয়েছে বা দেশের বাইরেও ভারতীয়রা কত বেহিসাবি টাকা লুকিয়ে রেখেছে, সে কথা জানে না খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভায় অর্থ ও বাণিজ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর একটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন এই তথ্য। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ রঞ্জীব বিসওয়াল রাজ্যসভায় বিমুদ্রাকরণ ও কালো টাকা নিয়ে একটি প্রশ্ন তোলেন।
সেখানে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, দেশে ও দেশের বাইরে কত কালো টাকা রয়েছে, সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কী হিসাব আছে? পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে তিনি জানতে চান, নোট বাতিলের পর থেকে কতজন ভারতীয় বেহিসাবি টাকা বিদেশের ব্যাঙ্কে সরিয়েছেন, তার বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে আছে কি না। এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই এমন চাঞ্চল্যকর উত্তর দেন অনুরাগ ঠাকুর।